ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করলে আগামীতে নৌকার সংসদ সদস্য হতে পারবে না শাজাহান খান। আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে এমনহুশিয়ারী সংকেত দিয়েছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিনআহম্মেদ মোল্লা। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা আ’লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা জানান, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেয়ার দাবী তুলছেন আ’লীগের প্রেসিডিয়মা সদস্য সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। তিনি (শাজাহান খান) নৌকার মনোনয়ন দেয়ার কে? ইউনিয়ন আ’লীগ যদি চায় তাহলে নৌকাতেই ইউপি নির্বাচন হবে। আর তিনি যদি নৌকা প্রতীক দিতে না-ই বলেন, তাহলে আগামীতে তাকেও নৌকা প্রতীক দেয়া হবে না। প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে নৌকায় ভোট দেয়ার। আর এ অধিকারকে হরণ করতে চায় শাজাহান খান। তার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
শাজাহানকে উদ্দেশ্য করে সভাপতি বলেন, তিনি বলতেন তার পিতা মৌলভি আচমত আলী খান মাদারীপুর মহকুমা আ’লীগের সভাপতি। আসলে তিনি তো আ’লীগের সভাপতি ছিলেন না। যেটা আমরা বিভিন্ন জায়গায় বলেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের এমন সত্য কথা বলতে হয়। কিš‘ সেটাও আমরা এক সময়ে বলতে পারেনি। কিন্তু এখন সময় এসেছে সবার কাছে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে। আমরা দল গোছানোর দায়িত্ব নেই আর তিনি তার পরিবারকে পদ-পদবী দিতে ব্যস্ত।
কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন সর্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আজাদুর রহমান মুন্সি, ডা. আব্দুল বারী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক বাবু শরীফ প্রমুখ। পরে একটি কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখ্য, মাদারীপুরে আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য শাজাহান খান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কর্মী-সমর্থকরা ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপিং আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর বাহাউদ্দিন নাছিমের পক্ষে রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক নেতা-কর্মী।
অন্যদিকে শাজাহান খানের সাথে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা বেশি জড়িত। ফলে জেলার আ’লীগের রাজনীতিকে দুই মেরুর পক্ষে-বিপক্ষে প্রায় ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি হয়ে থাকে। সম্প্রতি শাজাহান খান মাদারীপুর সদর ও রাজৈরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না দেয়ার দাবী তুলেছেন। আর তারই বিরোধীতা করে আসছে জেলা আওয়ামীলীগ।