কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের গ্রহণযোগ্যতাসহ পাঁচটি বিষয়ে মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ছয়জন আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মনোনীত ছয় আইনজীবীকে তাঁদের মতামত দেওয়ার জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সময় রেখেছেন আদালত। রিটটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। অ্যামিকাস কিউরি হলেন আদালতের আইনি সহায়তাকারী।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে যাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, কামাল উল আলম, আব্দুল মতিন খসরু, শাহদীন মালিক, ফিদা এম কামাল ও প্রবীর নিয়োগী।
রিট আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার দিক, রিটের প্রার্থনা অনুসারে এই আদালত থেকে কোনো আদেশ দেওয়া হলে বিদেশ কোনো টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে তা কার্যকর করা যাবে কি না, কোনো আইনি নোটিশ ছাড়া রিট (ম্যান্ডামাস) চলে কি না, রিটের প্রার্থনা অনুসারে এই আদালত থেকে আল-জাজিরার তথ্যচিত্রটি সব মাধ্যমে থেকে বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, ১ ফেব্রুয়ারি তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর এত দেরিতে রিট করার প্রেক্ষাপটে কোনো নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না—এসব বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত দিতে বলা হয়েছে।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী এনামুল কবির ইমন নিজেই শুনানি করেন। শুনানিতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আল-জাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ভিডিও-সংবলিত ওই ডকুমেন্টারি বিভ্রান্তিকর, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর উল্লেখ করে দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার ও ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমন ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। ইমন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, আল-জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরও (আইএসপিআর) এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।