1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন

ওয়ার্ড কমিশনার ইরফানের সহযোগী দিপু টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০
ওয়ার্ড কমিশনার ইরফানের সহযোগী দিপু টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার
এবি সিদ্দিক দিপু

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলার আরেক আসামি এবি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে দিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিপু ওই মামলার দুই নম্বর আসামি।

মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক। তিনি বলেন, ‘মামলাটির অন্যতম আসামি এবি সিদ্দিক দিপুকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিপুই নৌ-কর্মকর্তাকে বেশি আহত করে।

সেলিমপুত্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের অন্যতম সহযোগী দিপু। এছাড়া তিনি হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার।

গত রবিবার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর ওই গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে এসে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। নৌবাহিনী কর্মকর্তা নিজের পরিচয় দেয়ার পরও তাকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া সঙ্গে থাকা তার স্ত্রীকেও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

এই ঘটনায় সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সেই মামলায় এর আগে গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের এই মামলায় সাংসদের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে এবি সিদ্দিক দিপুর নামও আছে। এছাড়া মামলাটির অন্য তিন আসামি হলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমান।

মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়া।

পরে সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেন এলাকায় হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইরফানকে আটক করে র‌্যাব-১০। পরে তাকে ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‍্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর রাত একটার দিকে কারাগারে পাঠানো হয় সেলিমপুত্রকে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি