1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় সুসমন্বিত বৈশ্বিক কার্যক্রম দরকার

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৬৭৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় একটি সুসমন্বিত বৈশ্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এক্ষেত্রে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কঠিন সময়ে জি-৭, জি-২০ ওইসিডি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, জাতিসংঘের উপ-সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ এবং জ্যামাইকার অর্থমন্ত্রী নাইজেল ক্লার্কের সাথে জাতিসংঘ আয়োজিত অর্থমন্ত্রীদের এক যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় কোভিড-১৯ সংকটের ভয়াবহ পরিণতি থেকে মুক্তি পেতে নীতিগত বিকল্পগুণোর একটি কার্যকরী তালিকা নিয়ে আলোচনা করা এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি স্থিতিশীল এবং টেকসই বৈশ্বিক আর্থিক আর্কিটেকচার তৈরি করা। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা একে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করি যে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো ০.৭ শতাংশ ওডিএ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা গ্রুপ-১ এ সহনেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিসর, জাপান ও স্পেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বৈদেশিক অর্থ ও রেমিট্যান্স, চাকরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের আগ্রাধিকারগুলোর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য এই গ্রুপটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিনিয়োগ, এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা, এনডিজির অর্থায়ন ইত্যাদিসহ বাস্তব ক্রিয়া এবং নীতিমালার সুপারিশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে জাতিসংঘের সেক্রটারি জেনারেল এবং কানাডা ও জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী সাথে ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য ইরা অব কোভিড-১৯ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শুরু করেন। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও রেমিট্যান্স, কর্মসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পুনরুদ্ধার, বৈশ্বিক আর্থিক তারল্য এবং স্থিতিশীলতা, ঋণ ঝুঁকি, বেসরকারি খাতের ঋণদাতাদের অন্তর্ভুক্তি এবং অবৈধ আর্থিক প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি আলোচনা গ্রুপ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
সেই থেকে বিভিন্ন গ্রুপ সদস্য দেশ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রয়োজন বিবেচনা করে বিকল্পগুরোর একক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী তালিকা তৈরির কাজ করছে। বৈঠকে জাতিসংঘের ষাটের বেশি সদস্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি