প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, কোন আশায় বিএনপিকে ভোট দিবেন জনগণ? তাদের আমলে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে যে অস্থিরতা তৈরি করে ছিলো তা মানুষ এখনো ভুলেনি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বার বার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পরাজয় জেনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না।
সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি। যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা রাখি। কারা কেন কোন সুখের স্বপ্নে বা কোন আশার আলো দেখে বিএনপিকে ভোট দেবে? সেটাও একটু জিজ্ঞেস করেন, জেনে রাখি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এবারই প্রথম আমি দেশের বাইরে সশরীরে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করি। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমার অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে আমি সর্বোমোট ১০টি সভা এবং ৮টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছি। ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী দিনেও আমি যোগদান করি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২ অক্টোবর রাতে তিনি দেশে ফেরেন। মহামারীর মধ্যে ১৯ মাস পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে সেই অভিজ্ঞতা সংবাদ সম্মেলন করে জানাতেন সরকার প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই সফরের বাইরেও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতেন, সরকারপ্রধান সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতেন।
মহামারীর মধ্যে বিদেশ সফর না হওয়ায় গতবছর এপ্রিলের পর একবারই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সেই সংবাদ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার সুখবর তিনি দিয়েছিলেন।