কোভিড ব্যবস্থাপনা, পানি ও বিমান চলাচল খাতে আর্থিক সহায়তা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বাড়াতে ফ্রান্সের সঙ্গে তিনটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
প্যারিসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান সফরে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা।
পরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, একটি চুক্তির আওতায় করোনাভাইরাস মহামার মোকাবেলায় বাজেট সহায়তা হিসেবে ২০ কোটি ইউরো দেবে এজেন্সি ফ্রান্স ডেভলোপমেন্ট (এএফডি)।
এছাড়া ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পে ফ্রান্স নতুন করে ১৩ কোটি ইউরো দেবে। চলমান এ প্রকল্পে আগে ৩ কোটি ইউরো দিয়েছিল দেশটি।
ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, “অর্থাৎ আজকে আমরা স্বাক্ষর করলাম ৩৩০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি। এখন পর্যন্ত আমরা যে সহায়তা আমরা (ফ্রান্সের কাছ থেকে) পেয়েছি, সেটা ছিল ৮০০ মিলিয়ন ইউরো। এটা যোগ হওয়ার পরে আমাদের সহায়তা ১ বিলিয়ন ইউরো অতিক্রম করল।”
ইআরডি সচিব বলেন, ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে ২০১২ সাল থেকে। গত তিন বছরে বাংলাদেশের জন্য তাদের সহায়তার পরিমাণ ‘অনেক বেড়েছে’।
অর্থ নৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ফ্রান্সের এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্টের পরিচালক (এশিয়া) ফিলোপে অরলিঁয়ে দুই দেশের পক্ষে দুই দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং ফ্রান্স সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটা মূলত এভিয়েশন সেন্টরে নলেজ শেয়ারিং এবং ট্রেইনিং বিষয়ক যে সহযোগিতা, সেটাকে আরো বাড়িয়েছে দেবে। তার সাথে সাথে আমরা যৌথভাবে এভিয়েশন সেফটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়েন্ট ইভেন্ট আয়োজন করতে পারব।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।