1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

খুলনায় ট্রিপল মার্ডার : ৫ দিনের রিমান্ডে প্রধান আসামিসহ তিনজন

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে গুলি করে তিনজনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়াসহ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (নম্বর-৩) বিচারক মো. শাহীদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য যাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন প্রধান আসামি জাকারিয়ার ভাই মিল্টন ও রাজু।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক প্রত্যেক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এনামুল হক জানান, গত ১৬ জুলাই নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় তিন জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর শেখ জাকারিয়া, তার ভাই মিল্টন ও আরেক আসামি রাজু আত্মগোপন করে। গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশ। তাদের হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কারা কারা জড়িত ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

মশিয়ালী গ্রামের একটি মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সভাপতির পদ থেকে শেখ জাকরিয়াকে পদত্যাগ করতে বলে মিল শ্রমিক মুজিবরসহ মসজিদের মুসল্লিরা। সবার দাবির মুখে বাধ্য হয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হয়ে ১৭ জুলাই জুম্মার নামাজের পর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগে ১৬ জুলাই বিকেলে জাকারিয়া ও তার ভাইয়েরা অস্ত্র দিয়ে মিল শ্রমিক মুজিবরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদি এলাকাবাসীর উপর জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন বাহিনী নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম, একই এলাকার মো. ইউনুছ আলীর ছেলে গোলাম রসুল এবং পরে গুলিবিদ্ধ এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে আটরা মেট্রো টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ নিহত হন। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে গ্রামবাসী কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া জাকারকে দল থেকে বহিস্কার করে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ।

১৮ জুলাই নিহত মো. সাইফুল ইসলামের বাবা মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ জাকারিয়া হোসেন জাকার, তার ভাই মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন, অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিল্টনসহ ২২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করে মামলা (যার নম্বর-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি