1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

চবি চারুকলা ইন্সটিটিউটে ‘শিকড়’ প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৫৫৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ আর্ট উইক আগস্টে চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে সহযোগিতামূলক এবং সমসাময়িক আর্ট প্রকল্প চালু করেছে, যার নাম ‘শিকড়’। চট্টগ্রাম ও মুন্সীগঞ্জের শিল্প প্রকল্পটি নিয়ে ১০-১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট অব ফাইন আর্টস-এ চলছে প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে উইভিং আর্ট, হ্যান্ডলুম ফেব্রিক আর্ট, কাঠের শিল্প, টেরাকোটা শিল্প, বাঁশশিল্প এবং লোকগীতির মাধ্যমে প্রস্তুত শিল্পকর্মগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের পরিচালক ড. সেলভাম থরেজ।
বাংলাদেশ আর্ট উইকের সব কার্যক্রম ফাউন্ডার নীহারিকা মমতাজ এবং কো-ফাউন্ডার মোহাম্মদ মোহসিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ আর্ট উইক পরিচালিত বার্ষিক আর্ট প্রকল্প ‘শিকড়’ সকল শিল্পী, ডিজাইনার, লোকশিল্পী এবং স্বল্প আয়ের গ্রামীণ পরিবারের স্থানীয় শিল্পীদের জন্য একটি বিশেষ সহযোগী প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
এই আর্ট প্রকল্পটি চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের স্থানীয় শিল্পী ও কারিগরদের আর্থিক, সৃজনশীল এবং শিক্ষামূলক সহায়তা প্রদান করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় যেমন: তাঁতি, কাঠমিস্ত্রি, বাঁশমিস্ত্রি, জেলে, লোকগায়ক, লোকশিল্পী, কুমার, কামার ও স্বর্ণকাররা ডিজাইনার ও শিল্পীদের সহযোগীতায় আর্ট প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে।বাংলাদেশ আর্ট উইক এর প্রতিষ্ঠাতা নীহারিকা মমতাজ এর কিউরেশনে পুরো আর্ট প্রকল্পটি সজ্জিত হয়েছে। দুজন শিল্পী চট্টগ্রাম থেকে সঞ্জয় কুমার দাস ও সিরাজগঞ্জ থেকে জাহাঙ্গীর আলম তাদের নিজস্ব স্থান থেকে নিজ নিজ প্রকল্পগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছেন।
অংশগ্রহণকারী ডিজাইনার এবং শিল্পীরা হলেন ডিজাইনার নিহারিকা মমতাজ, শিল্পী প্রণব মিত্র চৌধুরী, শিল্পী শম্ভু আচার্য, শিল্পী সঞ্জয় দাস, শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম, শিল্পী ফারজানা হক এবং সুফি ব্যান্ড আসওয়াদ।
বিভিন্ন পেশার আর্টিসানরা হলেন তপন ঘোষ, চিনু পাল, খিতিশ পাল, দুলাল কান্তি দাশ, অনিল দাস, তপন দে, আবদুর রউফ, রতন কর্মকার, কণী কর্মকার, মোহাম্মদ ফরিদ, মোহাম্মদ রিয়াদ, সাদিকা আফরিন, ফজল মিয়া, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, তারা মিয়া, সেলিম মিয়া, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবু সাইদ প্রামাণিক, কাজী ইমাম হোসেন, মো. জসিম, মো. আব্দুল হালিম, রুহুল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী হায়দার।
বাংলাদেশ আর্ট উইকের প্রতিষ্ঠাতা এবং কিউরেটর নীহারিকা মমতাজ বলেন, এই বার্ষিক প্রকল্পটি কিউরেট করে আমি আনন্দিত। কাজটি আমাকে সকল শিল্পী এবং কলাকুশলীদের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় শিল্পকর্মের সমন্বয় করতে সুযোগ দিয়েছে। শিল্প জগৎ আরও বৈচিত্রময় হওয়া দরকার। এ বছরের সাম্প্রদায়িক প্রকল্পটি আমার জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এবার মনোনিবেশ করা অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রাম রয়েছে, যেটি আমার জন্মভূমি। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, গ্রামীণ শিল্পীদের সহযোগিতা ও তাদের সৃষ্ট কর্মকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যে আমরা নানান কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। শেকড় তার মধ্যে অন্যতম।
বাংলার ঐতিহ্য লোকশিল্প ও শিল্পীদের সমসাময়িক চিন্তাচেতনা এবং কৌশলসমূহ যেভাবে বাংলাদেশ আর্ট উইক ‘শিকড়’ শিরোনামে তুলে ধরার চেষ্টায় রত, তা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস এর পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরী। তিনি বলেন, এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমাদের শিল্পের প্রকৃত স্বরূপ ও আত্মপরিচয় খুঁজে পাওয়া যাবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি