1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন

টিটিসির শিক্ষক গিয়াসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নারী সংক্রান্ত অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

সুলতান রহমান বাপ্পী, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারি, টিটিসির পুকুর নিজের নামে লিজ নিয়ে দুর্নীতি, টিটিসির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে আর্থিক অসঙ্গতি, বিদেশগামী প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের টাকা লুটপাট, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শাখায় প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে গাড়ির তেল ও মসজিদের জন্য বেআইনীভাবে টাকা আদায়, প্রতিষ্ঠানের গাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে কাটা ও নিজস্ব লোকদের দিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি, বিভিন্ন সময়ে সরকারি কোয়ার্টারে অবস্থানকালীন বাসা ভাড়া, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে টাকা আত্মসাৎ, টিটিসির মসজিদ কমিটিতে পছন্দভাজন নারী শিক্ষককে সদস্য বানানোর মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্তসহ পাহড়সম অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এই সীমাহীন অপকর্মে সহযোগিতার জন্য তিনি কম্পিউটার ট্রেডের দুইজন প্রশিক্ষক ও ড্রাইভিং শাখার এক চীফ ইনস্ট্রাক্টর ব্যবহার করে থাকেন বলে জানা গেছে। একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধী মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মো. কামারুজ্জমানের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ছাত্র শিবিরের সদস্য গিয়াস উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির খুঁটির জোরে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেও এতসব দুর্নীতি ও অপকর্ম করেও বহাল তবিয়তে টিটিসির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রাণনাশের ও চাঁদাবাজির মামলার হুমকি প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ২০১৭ সাল থেকে এখানে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সিলেট টিটিসিতে প্রকল্প খাতে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে প্রকল্প কর্মকর্তা থেকে রাজস্ব খাতে যাওয়ার জন্য তিনিসহ আরও কতিপয় কর্মকর্তা উচ্চ আদালতে রিট করেন। আাদালতের আদেশে ২০১৪ সালে তিনি সংযুক্তিতে শেরপুর টিটিসিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ইতোপূর্বে তিনি যেখানেই কর্মরত ছিলেন তার প্রায় সব কয়টাতে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানসমূহের নারী প্রশিক্ষক, ছাত্রী, উপজাতি নারী প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন, পরকীয়াসহ বিভিন্ন নারী কেলেংকারির অভিযোগ উঠে। উল্লেখ্য, শেরপুর টিটিসিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে শারমীন সুলতানা (সুমি) নামের একজন নারী ইনস্ট্রাক্টর বিভাগীয়ভাবে অসদাচরণের অভিযোগ আনেন। বর্তমানে অভিযোগটি ডিজি অফিসে অজ্ঞাতকারণে ফাইলবন্দী রয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর পারিবারিক সূত্র জানায়, বর্তমানে ঐ নারী ইনস্ট্রাক্টর ময়মনসিংহের টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের ভয়ে আত্মগোপনে থেকে শেরপুর টিটিসিতে অফিস করছেন। এদিকে বর্তমানে ময়মনসিংহ টিটিসিতে ইলেকট্রনিক্স ট্রেডের ইনস্ট্রাক্টর নাজমুন নাহার মুন্নীর সাথে গিয়াসউদ্দিনের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে গোটা ময়মনসিংহ টিটিসিতে নানান মুখরোচক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। শেরপুর টিটিসিতে কর্মরত অবস্থায় গিয়াসউদ্দিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রহিম নামের এক ইন্সট্রাক্টরকে তার পালিত নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গিয়াসউদ্দিনের ভয়ে আব্দুর রহিম বদলি নিয়ে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া টিটিসিতে কর্মরত আছেন।
ময়মনসিংহ টিটিসিতে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে আলাপকালে তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর সকল সীমাহীন দৌরাত্ম্য, অপকর্ম এবং দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, ময়মনসিংহ টিটিসিতে গিয়াসউদ্দিনের সকল অপকর্মের সহযোগিতাকারী হিসেবে বর্তমানে কম্পিউটার ইনস্ট্রাক্টর মাসুদুর রহমান মাসুদ ও আনিসুর রহমান, ড্রাইভিং শাখার চীফ ইনস্ট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন খান জড়িত। তাদের সহযোগীতায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনেকটাই নির্বিঘেœ সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়। কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর মাসুদুর রহমান মাসুদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় এবং শ্বশুরবাড়ি টিটিসি সংলগ্ন চরপাড়া এলকায় হওয়ায় সে কাউকে তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ আছে। প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ের দুইজন সচিবের বাড়ি মাসুদের গ্রামের বাড়ির হওয়ায় তাদের অজ্ঞাতে নিজেকে তাদের আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দিয়ে মাসুদ দাপটের সহিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সকল অপকর্মের প্রধান দোসর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গিয়াসউদ্দিনের অপকর্মের সহযোগী হিসেবে মাসুদ নিজেও বৈকালীন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শাখায় প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের অপকর্মের বিরুদ্ধে টিটিসির কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারি প্রতিবাদ করলে মাসুদ তার শ্বশুরবাড়ির এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের এনে ভুক্তভোগীদের বদলি, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। প্রতিবাদকারীদের অনেককেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার পদের সুবিধা নিয়ে নানান ধরনের অফিসিয়াল হয়রানি, বেতন বন্ধ, সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, বদলির হুমকি এবং অপছন্দের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অন্যত্র বদলিসহ নানান ধরনের হয়রানিমূলক আচরন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের খাস লোক বলে পরিচিত ড্রাইভিং শাখার চীফ ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন ও কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান যাবতীয় অবৈধ বিল-ভাউচার করে গিয়াসউদ্দিনের সকল অপকর্মকে ধামাচাপা দিতে সার্বিকভাবে সহায়তা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গিয়াসউদ্দিনের কাছের লোক হওয়ায় চীফ ইন্সট্রাক্টর আনোয়র হোসেন খান প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত গাড়ির জন্য অর্থ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টো প্রশিক্ষনার্থীরা তাকে মাথাপিছু তেল খরচ বাবদ ১শ করে দিতে বাধ্য থাকে এবং মসজিদের নামে ২শ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করে বলে ছাত্র-ছাত্রী সূত্রে জানা যায়।
ময়মনসিংহ টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন। এমনকি উচ্চ পর্যায়ে তারা লিখিত অভিযোগও করেছেন। অতি সম্প্রতি জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর ময়মনসিংহ টিটিসিতে পিডিটির টাকা হরিলুটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি। অভিযোগে দেখা যায়, ২০১৭ সাল থেকে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির আগ পর্যন্ত চলতি বছরের এপ্রিল মাস অবধি ময়মনসিংহ টিটিসিতে পিডিটি (বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ) প্রশিক্ষণ চলে। তারা অভিযোগ করেন, ঐ প্রশিক্ষণে অংশ না নিয়েও অনেকে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট পেয়েছে, অনেক ভূয়া সার্টিফিকেটও ধরা পড়েছে। ওমর ফারুক নামের একজন বহিরাগত দালালের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের যোগসাজশে ঐসব কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। লিখিত অভিযোগে দেখা যায়, রিসোর্স পার্সন হিসাবে বেনামে ভুয়া বিল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। হিসাব শাখায় এটির রেকর্ড থাকলেও ঐ নামে কেউ কখনো ক্লাশ নিতে আসে নাই বলে অভিযোগে জানানো হয়। কনফারেন্স হল উন্নয়নের নামে জনপ্রতি ৭০ টাকা করে খরচ দেখানো হলেও এই খাতে কোনো টাকা কনফারেন্স হলের উন্নয়নে খরচ করা হয় নাই বলে লিখিত অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়। কনফারেন্স হলের উন্নয়নের কাজ স্টেপ প্রজেক্টের টাকা দিয়ে সারা হয়েছে যা অফিসের স্টোরের রেকর্ড বা তথ্যপ্রমাণে রয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়। এই খাতে জানুয়ারি, ২০২০ ইং এক মাসে ১৩৪৬ প্রশিক্ষণার্থীর মাথাপিছু ৭০ টাকা হিসাবে খরচ দেখানো হয় ৯৪ হাজার ২শ ২০ টাকা। এই হিসাবে ৪০ মাসে মোট ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮শ টাকা। খরচের হিসাব বিবরণী অনুযায়ী ৪০ মাসে প্রায় ২ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা ম্যানেজমেন্ট সম্মানী বাবদ খরচ দেখানো হলেও অভিযোগ পত্রে জানানো হয় যে, এই খাতে কাউকেই কোনো টাকা দেওয়া হয় নাই। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, একইভাবে ৪০ মাসে নোটবুক ও কলম কেনার নামে ৮ লক্ষ ৭ হাজার ৬শ টাকা, রিসোর্স পার্সনের নামে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৮শ টাকা, সহযোগী স্টাফ সম্মানীর নামে ২ লাখ ৬৯ হাজার ২শ টাকা, আনুষাঙ্গিক খাতে ২ লাখ ১৫ হাজার ৩শ ৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই খাতগুলোতে কোনও টাকাই ব্যয় করা হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া দুর্নীতির অন্যান্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে – ময়মনসিংহ টিটিসির অভ্যন্তরে প্রায় ২০ লাখ টাকা বাজারমূল্যের ১৫৯টি গাছ আপন চাচাকে ঠিকাদার বানিয়ে নামমাত্র ৩লাখ টাকা মূল্যে হাতবদল করে বিক্রি করার বিষয়টি। এছাড়া টিটিসির অভ্যন্তরের সুবিশাল পুকুরটি যার বর্তমান লীজ মূল্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা হবে, সেটি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন নিজের নামে মাত্র ৭৫ হাজার টাকায় ৩ বছরের জন্য লীজ নিয়েছেন। নিজেই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে নিজেই প্রতিষ্ঠানের পুকুরের লীজ গ্রহীতা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ছাড়া গত অর্থ বছরে গেস্ট হাউস, উপাধাক্ষ্য ও অধ্যক্ষের বাসভবন মেরামতের নামে গণপূর্তের টিটিসির দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের যোগসাজশে গিয়াসউদ্দিন ৪০ লাখ টাকার প্রায় পুরোটাই আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন টিটিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা। একইভাবে গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের যোগসাজশে টিটিসির সীমানাপ্রাচীর ও পুকুরের পাড় বাঁধের নামে সিংহভাগ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেন তারা। বিদেশগামী অসহায় সাধারণ মহিলা প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের জন্য প্রতিদিন জনপ্রতি ১শ’ টাকা হারে জমা নিলেও তার সিংহভাগই ব্যয় না করে নিজেরা আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ময়মনসিংহ টিটিসির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন ও বিএমইটির উপ-পরিচালক জোহরা মনসুরের অবৈধ আর্থিক লেনদেন, গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ফাইল গোপন করার কারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণায়লয়ের একজন সৎ কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বেগম রওনক জাহান সাত দিনের জন্য ওএসডি হয়েছিলেন। যা নিয়ে মন্ত্রনালয়ের কর্মকতা-কর্মচারিদের মধ্যে চরম ক্ষোভের উদ্রেক হয়েছিলো।
বিভিন্ন সময় তার উপরে উঠা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি তাদেরকে তার পালিত বাহিনী দিয়ে নানানভাবে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কাছের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত চীফ ইনস্ট্রাক্টর আনোয়র হোসেন খান ও কম্পিউটার ইনস্ট্রাক্টর মাসুদুর রহমান মাসুদ সাংবাদিকদের সরাসরি ও মোবাইলে প্রাননাশের হুমকি সহ নানান ধরনের ভয়-ভীতি দেখান বলে ভোক্তভোগী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। গিয়াসউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় যা শেরপুর জেলার পার্শ্ববর্তী। তার সাথে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ালেখা করেছে এমন একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ছাত্রাবস্থায় গিয়াসউদ্দিন ছাত্র শিবিরের সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। এছাড়া হালুয়াঘাট থাকা অবস্থায় পার্শ্ববর্তী শেরপুরে তার অবাধ যাতায়াত ছিলো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুদ্ধাপারাধী মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে উঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এই প্রতিবেদক ময়মনসিংহ টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের সাথে তার অফিসে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুলো স্বীকার না করলেও বিভিন্ন প্রকল্পে ও উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ব্যয়কৃত অর্থের সঠিক হিসাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নারী কেলেংকারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনও সদুত্তর না দিয়ে নীরব থাকেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি