চট্টগ্রামের দুঃস্মৃতি আর মনে করতে চান না বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাগরিকায় তীরে এসে তরী ডোবায় বুকের ভিতর যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুনেই সিরিজের শেষ অর্থাৎ ঢাকা টেস্টে ক্যারিবীয়দের পুড়িয়ে মারতে চান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট। হারলে কিংবা ড্র হলেও সিরিজ হাতছাড়া। তাই জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত হয়েই সকাল সাড়ে নয়টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টে সাকিব নেই সেটা তো পুরনো খবর, চট্টগ্রামে হাফ সেঞ্চুরি করা ওপেনার সাদমান ইসলামও শেষ মুহূর্তে ইনজুরির জন্য ছিটকে গেছেন দল থেকে। দুই দুঃসংবাদ মাথায় নিয়েই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলবে টাইগাররা। তবে মুমিনুলদের মাঠে নামতে হবে চাপের বোঝা মাথায় নিয়ে। আর সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুবই নির্ভার। তাদের অভিজ্ঞরা এসেও যেখানে আগের সফরে টানা দুই ম্যাচে হেরেছিল সেখানে অপেক্ষাকৃত এই তারুণ্যনির্ভর দলটি প্রথম বাজিমাত করে দিয়েছে। এই টেস্টে কোনো রকমে ড্র করলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে সিরিজ।
এদিকে, গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ম্যাচ পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছেন, সাকিব আল হাসান না থাকায় তারা একাদশ সাজানো নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলেননি এমন দুজনকে ঢাকা টেস্টে সুযোগ দেয়া হতে পারে বলে মুমিনুল ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু সাকিব ও সাদমান ঢাকা টেস্টে খেলছে না, তাই দু’জন ক্রিকেটার সুযোগ পেতে পারে। সাদমানের পরিবর্তে একজন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান এবং আরেকজন লেটার অর্ডার ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। একইসাথে আমাদের এমন একজন ক্রিকেটারকে নিতে হবে যে একইসাথে বল ও ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সাদমানের অনুপস্থিতি সাইফ হাসানের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে তিনি মাত্র দুটি টেস্ট খেলেছেন, এখনও ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে তার দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেননি। সাকিবের বদলি হিসেবে টেস্ট দলে যোগ দেয়া সৌম্য সরকার ব্যাটিং অর্ডারে ছয় নম্বরে জায়গা পেতে পারেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র একজন পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় তাই আরেকজন পেসার খেলার কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান মুমিনুল। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না। আমরা ঢাকা টেস্টে আরও বেশি পেসারকে অগ্রাধিকার দেয়ার পরিকল্পনা করছি। তবে আমাদের আগে উইকেট দেখতে হবে যাতে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। উইকেট পেস আক্রমণের জন্য সহায়ক মনে হলে আমরা আরও পেসার অন্তর্ভুক্ত করব, অন্যথায়, আমরা একটি স্পিনভিত্তিক আক্রমণ সাজাবো।
বাংলাদেশ একাদশ-
তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক সৌরভ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান ও আবু জায়েদ রাফি।