1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

দেশে কমিটি বাণিজ্য ও দুর্নীতির টাকায় লন্ডন ক্যাসিনোতে ফূর্তি করছে তারেক

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৮৭ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশে দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া জেল খাটছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবি, নেতা-কর্মীদের আন্দোলন বিমুখতা, দলের ভঙ্গুর অবস্থা। সব মিলিয়ে বিএনপির অবস্থা পানি ছাড়া মাছের মতো। কর্মীদের মধ্যে নেই যোগাযোগ। বিএনপির এমন বেহাল দশায় নেতৃত্ব দেওয়া বাদ দিয়ে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলায় মেতেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান। জুয়ার নেশায় প্রতিদিন হাজার হাজার পাউন্ড ওড়াচ্ছেন তিনি। জুয়ার টাকা ম্যানেজ করতে এখন দেশে বিভিন্ন কমিটি বানানো, সংসদ নির্বাচনের আগাম টিকিট বিক্রি, দুর্নীতি করে টাকা আদায় করছেন তারেক রহমান। তার জুয়া আসক্তি নিয়ে অসস্থিতে আছেন লন্ডন বিএনপিসহ বাংলাদেশ বিএনপির নেতারা।
লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বেট ৩৬৫, বেট হাবসহ একাধিক অনলাইন জুয়ার আসরে পয়সা লাগাচ্ছেন দুর্নীতিগ্রস্ত তারেক রহমান।

দেশে কমিটি বাণিজ্য ও দুর্নীতির টাকায় লন্ডনে ক্যাসিনোতে ফূর্তি করছে তারেক
দীর্ঘদিন উপার্জন না করেও লন্ডনে এমন চোখ ধাঁধানো আয়েশি জীবনযাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান। এই অর্থের উৎস সন্ধান করছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা।

সম্প্রতি গোয়েন্দারা তার অর্থ যোগানদাতাদের একটি তালিকা হাতে পেয়েছেন। সেখানে রয়েছে একাধিক বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীর নাম। যারা ঢাকা ও সিলেট থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ‘মাসিক চাঁদা’ হিসেবে মোটা অংকের টাকা দিচ্ছেন।

এছাড়া মনোনয়ন এবং কমিটি বাণিজ্যের টাকা বিশেষ পথে লন্ডনে পৌঁছে যায়, আর সেই টাকা বিলাসী জীবনযাপন করন তারেক রহমান, এমনই তথ্য মিলছে অনুসন্ধানে। তারেক রহমান

শুধু হুন্ডি কিংবা মনোনয়ন বাণিজ্যই নয়, লন্ডনে অবস্থানরত সিলেটি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী থেকেও মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন তারেক রহমান, যা খোদ বিএনপির ভেতরেই ওপেন সিক্রেট এখন।

এছাড়াও সম্প্রতি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তারের পর পাওয়া গেলো নতুন তথ্য।

মাওলানা ভাসানী হলের ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল লন্ডনের একটি হোটেল ও মোটেলের মালিকানার শেয়ার কিনতে তারেক রহমানের কাছে ১০ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর একটি গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি কার্যালয়ের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

সম্প্রতি লন্ডনের এক ক্যাসিনোতে জুয়া খেলায় মত্ত তারেক রহমানের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন এ নিয়ে। ঢাকা জেলার বাইরের একজন সিনিয়র নেতা সরাসরি ক্ষোভ উগরে বক্তব্য দেন।

যেখান দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমিটি বাণিজ্য নিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ, ঝাড়ু মিছিল, কুশ পুত্তলিকা দাহ করাসহ নানান প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে, সেই সময় এসব সমস্যা সমাধান না করে উল্টো দেশ থেকে অবৈধ পথে যাওয়া টাকায় ফূর্তি করছেন দলের পলাতক নেতা!

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা যুবদলের গঠিত কমিটির বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নেতাকর্মীরা জানান অযোগ্য, হাইব্রিড, শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন, দুর্নীতিবাজ ও সুযোগসন্ধানীদেরকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।

এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা ঝাড়ু মিছিলসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে তারেক রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এছাড়া একই জেলার নাসিরনগর উপজেলায় খুনের আসামিকে আহ্বায়ক করায় একযোগে পদত্যাগ করেছেন ২৫ জন নেতা।

ঢাকার পদবঞ্চিত কয়েকজন নেতার অভিযোগ, বিত্তশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির নেতারা আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। ত্যাগী নেতাদের কেউই স্থান পাননি কমিটিতে। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তারা।

এদিকে লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা যায়, তারেকের উদ্দাম জীবন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই বিরক্ত তারা। তারেককে টাকার জোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক বর্ষীয়ান নেতাকেও রাজনীতি ছাড়তে হয়েছে।

এই ক্ষোভ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের কানাঘুষার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাঙালি কমিউনিটিতে ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে তারেকের নৈশ জীবনের কথা। দুর্নীতি, দলীয় পদ ও মনোনয়নের টাকা কোন কোন খাতে খরচ করা হচ্ছে, তার একটি হিসাব চেয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তারেক।

প্রতিটি নির্বাচনের আগে তারেক রহমানকে যতো টাকা দেয় বাংলাদেশের বিএনপি নেতারা, সেই টাকা যাচ্ছে কোথায়? এটি নিয়ে তাদেরও প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। সেই টাকা খরচের উৎস খুঁজতে গত কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চলছিল। অবশেষে গত আগস্টের শুরুতে দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানের এক বিশেষ হ্যান্ডলারের খোঁজ পায় সাংবাদিকদের আন্ডারকাভার টিম।

একাধিকবার ব্যর্থ হওয়ার পর, তারেকের সেই বিশেষ হ্যান্ডলারকে হানি ট্র্যাপে ফেলতেও সক্ষম হয় তারা। তারপর সেই হ্যান্ডলার ও হানি ট্রাপের মাধ্যমেই গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা হয় তারেকের জুয়ার আড্ডার কিছু ছবি ও ভিডিও।

অভিযোগ উঠেছে, করোনাকালে সাধারণ মানুষ এবং দলীয় অসহায়, কর্মহীন ও দরিদ্র কর্মীদের জন্যেও এক পয়সা খরচ করা হয়নি সংগঠনের পক্ষ থেকে। উল্টো দেশ থেকে কোটি কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করেছেন দুর্নীতিবাজ তারেক।

লন্ডনের বাঙালি পাড়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য যাচাই করার জন্য কিছুদিন আগে কাজ শুরু করে লন্ডনে অবস্থানরত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি দল। আর এতেই উঠে আসে আসল চিত্র।

লন্ডনে ক্যাসিনো খেলারত তারেক রহমান

এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি লন্ডনের অভিজাত এক ক্যাসিনো ও ড্যান্স ক্লাবে অবস্থান করা তারেক রহমানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লন্ডন বিএনপির একাধিক নেতা হতাশ কণ্ঠে বলেন, সপ্তাহে ৩-৪ দিন রাতভর ক্লাবেই অবস্থান করেন ভাইয়া (তারেক রহমান)। সেখানে জুয়া খেলে সময় কাটান। জুয়ার বোর্ডে বাংলাদেশের টাকায় মাসে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা ওড়ান। তবে ভাইয়ার টাকা আছে, টাকা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

যদিও একটি সূত্র বলছে, তারেক রহমান তার যাবতীয় অবৈধ ব্যবসা এবং দেশবিরোধী চক্রান্ত করার কাজে মিটিং প্লেস হিসেবে ব্যবহার করেন ক্যাসিনোকে। এখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ আসা-যাওয়া করে, আলাদাভাবে কে কার সাথে কথা বলছে, নজরদারি করার কেউ নাই। তাই নিজ বাড়ি থেকে ক্যাসিনোকেই নিরাপদ মনে করেন তারেক।

প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমানের আয়কর রিটার্ন দাখিলের নথিপত্র সম্পর্কে তথ্য প্রকাশিত হয় দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমে। ক্যাসিনোতে জুয়া খেলে অর্থ উপার্জনকেই তারেক রহমানের আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে সেখানে।

বলা হয়েছে, তার আয়ের একটি বড় অংশ হচ্ছে ক্যাসিনো থেকে। কারণ, ইংল্যান্ডে ক্যাসিনো থেকে আয় করলে ট্যাক্স দিতে হয় না। মূলত দেশ থেকে অবৈধ পথে যাওয়া দুর্নীতির অর্থের উৎসকে জুয়া খেলে উপার্জিত অর্থ বলে দেখাচ্ছেন তারেক।

দুর্নীতি এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘বিএনপির হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্যাসিনো সাংস্কৃতির চালু। তারা এই সমস্ত সংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছিলেন। আবার বিসমিল্লাহ বলে দেশে মদ-জুয়া হাউজিও চালু করে দিয়েছিলেন।’

তথ্যমন্ত্রী সে সময় তারেক রহমানকে ক্যাসিনো সম্রাট আখ্যা দেন

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি