1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে সন্তানের নিকট হতে নিজ সম্পতি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এক মা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩০০ বার দেখা হয়েছে
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বিশ্রামগাছী গ্রামের বাসিন্দা মরহুম সমেশ উদ্দিন সরকার ও মরহুমা  সৈয়দানেছার কন্যা মাসুমা বেগম (৭৫) পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি আপন বড় ছেলে ও চার মেয়ে যোগসাজস করে বিভিন্ন সময় ও তারিখে দলিল করিয়া নেয়। এতে সে নিজে ও তাহার ওরসজাত এক ছেলে ও এক মেয়েসহ এসব সম্পতি হতে বঞ্চিত হয়। এরপর হতে সেই মা মাসুমা বেগম (৭৫) বঞ্চিত ছেলে মেয়ে কে নিয়ে একটু আশ্রয় পাবার আশায়, একটু মাথা গোঁজা ঠাই পেতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন বিচার না পাওয়ায় নিদারুন হতাশায় ভুগছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাসুমা বেগম (৭৫) পত্রিক সূত্রে পাওয়া গাড়ানাটা,দয়ারপাড়া ও বিশ্রামগাছী মৌজায় প্রায় ২ বিঘা ২৪ শতাংশ জমি বিগত সময়ে ২ ছেলের মধ্য বড় ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে ৪ মেয়ে কে এসব সম্পতি দলিল মূলে লিখে দেন। এসব জমাজমি লিখে নেওয়ার পর হতে মাসুমা বেগম (৭৫) এর ২ ছেলের মধ্যে দ্বন্দ কোলহ মারামারি ও মামলা মোকাদ্দমার ঘটনা ঘটেছে। সে সময়ে মা মাসুমা বেগম বড় ছেলে ও ৪ মেয়ের পক্ষে থাকলেও বর্তমান সময়ে বঞ্চিত ছোট ছেলে আজাদুল ইসলাম ও বঞ্চিত মেয়ে তাহেরা বেগমের পক্ষ নেন। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বসতভিটা গড়ে দিতে মাসুদা বেগমের নিকট হতে নেওয়া সম্পতি ফিরে পেতে সমাজপতিসহ থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়া নিদারুন হতাশায় জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে মা মাসুমা বেগম (৭৫) জানান,তাকে না জানিয়ে অন্য জমির দলিলে স্বাক্ষী করার কথা বলে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সরকার বাড়ী এনে লেখালেখি করে অফিসে নিয়ে দলিল সম্পাদনা করে।আমার সকল সম্পতি কৌশলে লিখে নিয়েছে আমার বড় ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আনারুল ইসলাম। এরপর বিষয়টি আমি জানতে ও বুঝতে পারলে বিভিন্ন সময় ও তারিখে আমার ছেলে আনারুল ইসলাম কে আমার সম্পতি ফিরে দিতে বললে সে নানা তালবাহানা শুরু করায় বর্তমান সময়ে আমি ও আমার এক ছেলে মেয়ে কে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আজ তারা আমার বাড়ী হতে আমাকে বিতারিত করেছে বাড়ীর চাবি নিয়ে আমাকে মেয়েদের বাড়ী পাঠিয়ে দেয় বড় ছেলে আনারুল ইসলাম। এমন অমানুবিকতার বিচার ও তিনি তাহার পত্রিক সম্পতি ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে আনারুল ইসলাম বলেন,আমি লালমনিরহাটের একটি চাকুরী করছি। বর্তমানে সেখানে রয়েছি। জমি জমার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মা আমার নিকট সকল সম্পতি বিক্রি করেছেন। যা তিনি ৫ দলিলে লিখে দেন। পরিবারের অভাব অনটনে আমি টাকা দিয়ে সম্পতি কিনে নিয়েছি কোন অন্যায় করিনি।
মায়ের সম্পতি বঞ্চিত ভাই আজাদুল ইসলাম ও বোন তাহেরা বেগম বলেন, আমার মায়ের সম্পতি আমাদের বড় ভাই আনারুল ইসলাম কৌশলে লিখে নিয়ে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় আমরা আমাদের সম্পতির হিসাব ও মায়ের অংশের সম্পতি ফিরে পেতে সকল ধরণের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিবো। আজ আমাদের বাড়ী হতে আমার মাকে এক প্রকার কৌশলে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই অমানুবিকতার বিচার প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু বলার নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি