চট্টগ্রাম বাশঁখালী উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চল ছনুয়া ইয়াবার স্বর্গরাজ্য নেতৃত্বে ইয়াবা সম্রাট রাসেল ওরফে রাসেল কোম্পানী। উপকুলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রের পাশঘেরা ছনুয়া এলাকায় ইয়াবার বড় বড় চালান খালাছসহ ইয়াবা পাচারের স্বর্গেরাজ্য গড়ে তুলেছে ৩৫ বছর বয়সী ৪নং ওয়র্ডের গুরাচান পাড়ার মৃত নূরার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ওরফে কথিত রাশেদ কোম্পানী। গত কয়েক বছরে ইয়াবা পাচার করে কোটি কোটি টাকা দামের ফিশিং বোট ও স্থানীয় ছনুয়া বাজারে পাইকারী দোকানের নামে অফিস স্থাপন করে কোম্পানী সেজে বসে, সে নিরবে কক্সবাজার থেকে নিজস্ব ফিশিং বোট যোগে ইয়াবার বড় বড় চালান ছনুয়া ঘাট, আনোয়ারার গহিরা, কর্ণফুলীর পতেঙ্গায় খালাছ করে আসলেও কখনো কতৃপক্ষের নজরে আসেনি ধরাছোয়ার বাইরে থেকে ২০ থেকে ৩০ জনের শক্তিশালী সহযোগী সিন্ডিকেট গডে তুলে বাশঁখালীর প্রত্তন্ত অঞ্চলেও ইয়াবার চালান পৌছে দিয়ে যাচ্ছিল।
গত সাপ্তাহ খানেক আগে বাশঁখালী পুঁইছড়ীর ইউপির স্বরলিয়া বাজারে রাসেল মোটর সাইকেল যোগে ইয়াবার চালান পাচার কালে জনগণের হাতে ধরা পড়ে গণধোলাই এর শিকার হলে রাসেলের বিরুদ্ধে একে একে চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হতে থাকে। এ বিষয়ে তখনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হলেও অদৃশ্য প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে দামাচাপা পড়ে যায়। এতে রাসেল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে ইয়াবা সম্রাট রাসেলের মুঠোফোন নং: ০১৮২২-৩৩৪৪৬৩, যোগাযোগ করা হলে উক্ত প্রতিবেদককে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মৃত্যুর হুমকি দিয়ে বাশঁখালীর ওসি সাহেবের সাথে কনফারেন্সে কথা বলায় দিচ্ছে মর্মে হুনকার দিতে কল কেটে দেয়।দ্বিতীয় বার পুনারায় উক্ত নম্বরে কল দেওয়া হলে রাসেল উচ্ছ কন্ঠে বলে বলে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন সাবেক মেম্বার গড়ফাদার নাছির এমনকি বাশঁখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পিএস জাহেদের কাছে রাশেদ বিষয়ে খুজ খবর নিতে বলে কল কেটে দেয়। কিছুক্ষন পর রাশেদের ইয়াবা ব্যবসার আরেক সহযোগীর নম্বর থেকে উক্ত প্রতিবেদককে কল করে নিজেকে কক্সবাজারের সাংবাদিক খান সাহেব পরিচয় দিয়ে বলে রাসেল আপনার সাথে একটু দেখা করতে চায়। আপনি রাসেলেকে কেন ফোন দিয়েছেন রাসেল আমার বন্ধু তার হাত অনেক উপরে আপনার মত সাংবাদিক উনার পকেটে থাকে, আর কখনো রাসেল কে ফোন দেওয়ার চেষ্ঠা করিবেন না মর্মে জানান দিয়ে কল কেটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উক্ত রাসেল ৬-৭ বছর আগে চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন কারখানায় মাসিক বেতনের চাকরী করে সংসার চালাত, চট্টগ্রাম শহরে দ্বিতীয় আরেকটা বিয়ে ও করেছিল সে দ্বিতীয় স্ত্রীর নারী নির্যাতন মামলায় জেলও কাটে, সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নারী নির্যাতন মদ-গাজা, জুয়াসহ অর্ধ ডজন মামলা ও রয়েছে। সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন সময় পুলিশ প্রসাশন তার দোকানে তাকে ধরতে গেলেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উক্ত রাসেলের ঘনিষ্ঠ বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে বাশঁখালী থানার সাবেক এস আই রুবেল এর সাথে রাসেলের দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল। তার মাধ্যমে থানা প্রসাশনকে ইয়াবা ব্যবসার মাসোহারা দিত, এবং বাশঁখালীর সংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এপি এস জাহেদের শেল্টারে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সরাসরি মদদে স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার সন্ত্রাসী নাছির বাহিনীর প্রধান সাবেক মেম্বার নাছির ছত্রছায়ায় থেকে উক্ত মরণনেশা ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক বনে যায়। তার বিরুদ্ধে এলাকাতে কেউ টু-শব্দ করলে সাথে সাথেই নাছির বাহিনীর লোকজন মারধর সহ জিম্মি দসাই রেখে মুসলেখা স্ট্যাম্প এমনকি ক্ষেত্রে বিশেষে অন্যায় ভাবে মুক্তিপনও নিয়ে থাকে মর্মে এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ছনুয়া ইউনিয়ন টি উপকুলীয় এলাকা এবং থানা প্রসাশন থেকে প্রায় ২-৩ ঘন্টার দূরত্বে তার মধ্যে যাতায়তের রাস্তার বেহাল দসা হওয়াতে সেখানকার অপরাধী মাদক ব্যবসী সন্ত্রাসী ডাকাতদল চোরা কারবারী ইয়াবা পাচার কারীরা নিরাপদে ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে প্রতিনিয়ত ব্যবসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে ছনুয়ার সচেতন এলাকাবাসী জানায়। তারা আরো বলে এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে উক্ত এলাকার প্রতিটি ঘর ইয়াবার গোদামে পরিণত হবে। অনতিবিলম্বে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ধারাবাহিক প্রতিবেদন চলবে ……