আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি যখন সরকারে যায় তখন তারা পাগল হয়ে যায়। সরকারে গেলেই তারা খুনের নেশায় মেতে ওঠে।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে তারা জাতির জনকের সৈনিকদের হত্যা করতে চায়। তারা হত্যা করতে চায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে, এর সাথে হত্যা করতে চায়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিকে নিয়ে বাংলাদেশকে অফগানিস্তানের মত তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চায়। এ কারণে তারা সব সময় দেশকে অস্থিশীল করার পায়তারা করে। তারা দেশে সবসময় ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করে। তারা দেশের মানুষের ভালো চায় না, দেশের ভালো চায় না।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বদিকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের দরবারে সম্মানিত একজন রাষ্ট্রনায়ক। দেশের এ উন্নয়ন দেখে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শংকিত হচ্ছে। তারা কোন ভাবে দেশের অগ্রযাত্রা মেনে নিতে পারছেনা। তাই তারা সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে। তারা শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টির জন্য, শান্তির বাংলাদেশ মিথ্যা প্রমাণের জন্য চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে গুজব সৃষ্টি করছে।
শহীদ শেখ রাসেলের কথা স্মরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়া-মোস্তাক গংরা নির্দয়ভাবে শহীদ শেখ রাসেলকে হত্যা করেছে। রাসেল তাদের অনুরোধ করেছে, বলেছিলো তাকে মায়ের কাছে নিয়ে যেতে। তারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এই ছোট শিশুটাকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে একজন পরিপূর্ণ মানুষ, পরিপূর্ণ নেতা হতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে দেশের নেতৃত্ব দিতেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু কোথাও নারী বা শিশুকে হত্যা করা হয়নি। ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশে জিয়া-মোস্তাক গংরা এই নিকৃষ্ট কাজ করেছে। তারা শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা চেয়েছিলো জাতির পিতার সব স্বপ্নকে শেষ করে দিতে। জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিকে অপমানিত করেছে, জাতীয় সংসদকে অপমানিত করেছে। দেশের সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। জিয়া দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তাই এদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। এদের সকল অপকর্মকে প্রতিহত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মির্জা আবদুল জলিল, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ফরিদুনাহার লাইলী প্রমুখ।