সামাজিক প্রতিবন্ধকতা বা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর এমন বিষয় গণমাধ্যমে তুলে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে পিআইবি ই-লার্নিং প্লাটফর্ম ঢ়রনবষবধৎহরহম.মড়া.নফ উদ্বোধন ও বিগত কোর্সের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে গত এক দশকে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে, সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণের প্রসার ঘটেনি। পেশাগত কাজে ব্যস্ত এবং সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দের জন্য অনলাইনে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ তাই অত্যন্ত সুবিধাজনক ও গুরুত্বপূর্ণ। ই-লার্নিং কোর্সের জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজার সাংবাদিকের আবেদনের গুরুত্ব সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দেশে অনলাইন পদ্ধতির সূচনা ও প্রসারের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের চিন্তাপ্রসূত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সুফল হিসেবে করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে অনলাইনে শিক্ষাদান চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী নিজেও এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়েছেন, বিদেশ থেকেও ক্লাস নিয়েছেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে এসময় মন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজ উন্নয়ন সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ ও দেশ গঠনে যে ভূমিকা রেখেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক পরিশ্রমে, এমনকি বছরজুড়ে তৈরি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক সময় সমাজ ও রাষ্ট্রের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। বাস্তবতার নিরিখে সাংবাদিকদের অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয় এবং সে বিষয়টিও প্রশিক্ষণে থাকা উচিত বলেন তিনি।
পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল ও পিআইবি’র পরিচালক মো. আফরাজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এসময় ই-লার্নিং সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া একশ জনের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।