লন্ডন পুলিশে বিদ্রোহের আগুন! পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত দেশটির সেনাবাহিনী। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে এসএএস কমান্ডোদেরও। ব্রিটেনের প্রাণকেন্দ্রে এহেন ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট।
আচমকা কেন বিদ্রোহী হয়ে উঠল লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ?
জানা গেছে, এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হতেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ক্রিস কাবা নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। সাইথ লন্ডনের স্ট্রেথাম হিল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, ক্রিস গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাকে এক পুলিশ অফিসার গুলি করে হত্যা করেন। কাবার কাছে অস্ত্র ছিল না। অভিযোগ, বর্ণবিদ্বেষের কারণে ওই কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে মারা হয়েছিল। গোটা ঘটনা সম্পর্কে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান পুলিশকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘পুলিশকে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’
পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র জানান, প্রথমে কয়েক জন অফিসার সশস্ত্র অবস্থায় কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। তার পরে এই সংখ্যা সমানে বাড়ছে। সহকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ তাঁরা। তার পরই পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএএস কমান্ডোদেরও। ব্রিটেনের প্রাণকেন্দ্রে এহেন ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে সব পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকে না। যাঁদের কাছে হাতিয়ার থাকে, তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষিণ থাকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, ১০০ জনের মতো পুলিশ অফিসার কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন। ব্রিটেনের অন্য অংশের পুলিশ আধিকারিকরাও লন্ডনে আসতে চাইছেনা না।স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাতটি ‘কাউন্টার টেররিজম ফায়ার আর্মস ইউনিট’ বা সন্ত্রাসবিরোধী সশস্ত্র দলের মধ্যে মাত্র একটি কার।ক্ষম রয়েছে। সবমিলিয়ে, পুরিস্থিতি জটিল।