দুর্নীতিবাজ, লুণ্ঠনকারীরা তাদেও স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে পারে। দলের অভ্যন্তরে অপরাজনীতি এবং লুণঠনকারীরা প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রীর সকল অর্জনকে নস্যাত করছে। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযাগ করেন, নোয়াখালীর অপরাজনীতি, দুর্নীতি, লুণ্ঠন, টেন্ডারবাজ, হত্যা, অনিয়মের ঘটনা ঘটে। এ সবের নেতৃত্বে দিচ্ছেন, নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সদও উপজেলা চেয়ারম্যান জেহান, একরামুলের পুত্র সাবাব, দাগনভূঁইয়ার দিদার, জসিম, জাবেদসহ উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যাকারীরা। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন যে, ফেনীতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রামণ করা হয়। চট্টগ্রামে এমপির পুত্র সাবাব হোটেলে আক্রমণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে। এসব ঘটনার বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই সংবাদ সম্মেলন।
মির্জা কাদের বলেন, নোয়াখালীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, গণপূর্ত প্রকৌশলী সবাই একরমের দালাল হিসেবে কাজ করে। এসপি, ডিসি, জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা একরামের পুতুল হিসেবে কাজ করে। শিক্ষক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগসহ সব ধরনের নিয়োগে একরাম ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। যে কোনো উন্নয়ন কাজে একরাম ১০ ভাগ টাকা অগ্রিম নিয়ে নেন। নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একাধিক নেতা-কর্মীকে একরামের লোকেরা হত্যা করেছে। কোনো বিচার হয় না। আজ আমার ওপর হামলা হয়েছে, কাল কার ওপর হামলা হবে, এসব বলার অপেক্ষা রাখে না। লুণ্ঠনকারীরা তাদের স্বার্থে শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে পারেন বলে কাদের মির্জা শঙ্কা প্রকাশ করেন।