এসএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ পরীক্ষা সকাল সাড়ে ১১টায় শেষ হয়। আগে এই পরীক্ষা হতো তিন ঘণ্টার। এ বছর পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমানো হয়েছে। পরীক্ষা হচ্ছে ৫০ নম্বরের। এদিকে প্রত্যেকটি কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। সারা দেশে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৬৭৯টি। গত বছরের থেকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৩৫টি স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ৯টি সাধারণ বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৭ হাজার ৬৭৬টি স্কুলের ১৮ লাখ ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী। অন্য দিকে ৯ হাজার ১১০টি মাদরাসার তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন পরীক্ষার্থী ৭১০টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবে দুই হাজার ৩৪৯টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন।
এ দিকে সবচেয়ে বড় এই পাবলিক পরীক্ষাটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। নকলমুক্তভাবে পরীক্ষা আয়োজন করতে এক সপ্তাহ আগে থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে যাওয়া এসএসসির পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দিয়ে এবার বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রগুলো। একই সাথে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য পরীক্ষা শুরুর আগে ও চলাকালে করণীয় নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকার বেশকিছু কেন্দ্রের দায়িত্বশীলরা বলছেন, পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি বেঞ্চে দুজন করে বসানো হবে পরীক্ষা কেন্দ্রে।