সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা ও সহিংসতার গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে সারাদেশ জুড়ে গণ অনশন-গণ-অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার ভোর ছয়টা থেকে এই কর্মসূচী শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলবে বলে জানাচ্ছেন আয়োজকরা। শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”ভোর থেকেই আমাদের কর্মসূচী শুরু হয়েছে। ঢাকায় শাহবাগ চত্বর আর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা চত্বরে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।”
”আমাদের সংগঠন ছাড়াও নানা নাগরিক সংগঠন, সব ধর্মের মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়েছে।” তিনি জানান।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়িঘর ও স্থাপনায় যেসব হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে সরকার যে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, সেটার দ্রুত বাস্তবায়ন ও সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত প্রতিরোধে এই কর্মসূচী বলে পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে।
গত ১৩ই অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজার সময় কুমিল্লার একটা পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া যায়।
এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ এবং পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়।
যেসব স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনার ঘটেছে, সেখানে প্রতিবাদ হিসাবে এবারের কালীপূজা এবং দীপাবলি উৎসবের পরিবর্তে ঘট-পূজার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
যে ব্যক্তি মন্দিরে কোরআন রেখেছিলেন বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের পুলিশ।
এসব ঘটনায় দেশে অন্তত ৭১টি মামলা হয়েছে, যেসব মামলায় অন্তত ৪৫০জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।