1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দিতে হবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১
  • ১১৫ বার দেখা হয়েছে

‘সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও উদার। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের রুখে দিতে হবে।’

আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবীর আলোচনাসভায় প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘একজন সত্যিকার মুসলমান কখনো অন্যের ক্ষতি করতে ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে না। আউলিয়া সাধক ও দরবেশদের এই দেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আজ যারা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে, পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে ফেতনা ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ না রেখে, নিজেদের মধ্যে ফেতনা না রটিয়ে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার ১২ রবিউল আউয়ালকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইসলামের মূল মর্মবাণী হলো মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা। যারা এই মূল মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনো ইসলামের নামে অন্য কারো ওপর আক্রমণ করে না। আজ ইসলামের মূল থেকে সরে গিয়ে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া হয়। অলি-আউলিয়াদের মাধ্যমে ভালোবাসায় এই জনপদে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলে, সহিংসতা সৃষ্টি করে, অন্য ধর্মের প্রতি হামলা করে; তারা ফেতনা সৃষ্টিকারী। আমাদের এই দেশের স্বাধীনতার জন্য মুসলমান-হিন্দু একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এই দেশ সবার।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, একশ্রেণির মানুষ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের নবী এত উদার, এত সহনশীল, যদি তার জীবন বিশ্লেষণ করি, তবে এমন আর কাউকে পাওয়া যাবে না। আর সেই ধর্মের মানুষকে মিথ্যাচার করে, এভাবে হেয় করা কেউ মেনে নেবে না। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যেন কেউ আমাদের মাঝে সহিংসতা সৃষ্টি করে বিদ্বেষ বাড়াতে না পারে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই। সব ধর্ম তাদের নিজ নিজ উৎসব-আয়োজন সুষ্ঠুভাবে পালন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং ইসলাম আমাদের তাই শিখিয়েছে।

সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি