সোনাইমুড়ীতে যানজট নিরসনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সোনাইমুড়ী পৌরসভা মেয়রের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) হাফিজুল হক। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সোনাইমুড়ী বাজার প্রধান সড়কের রেজিস্ট্রি অফিস গেইট থেকে সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক পর্যন্ত
উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় সড়কের পাশের প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র নুর“ল হক চৌধুরী, সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তহিদুল ইসলাম,
সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান (ভিপি বাহার), সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক খলিলুর রহমানসহ পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ।অবৈধ হকার উচ্ছেদের ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরেএসেছে।
সচেতন মহল মনে করেন পৌর মেয়রের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ কারণে প্রশংসার দাবীদার। কিন্তু‘ কয়েকজন আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এর আগেও উচ্ছেদের অভিযান হয়েছে, কিন্তু‘ কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের কারণে হকারদের আবার পুনর্বাসন করা হয়। এতে করে বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয়। ইতিপূর্বে গণমাধ্যমে যানজটের সংবাদ একাধিকবার প্রকাশ হওয়ায় প্রশাসনের টনক নড়ে। গত সপ্তাহে উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় আলোচনা শেষে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক শনিবার মাইকিং করে হকারদের রাস্তা খালি করার জন্য বলা হলেও তারা রাস্তা থেকে না সরায় সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও থানা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলুর রহমান জানান, সোনাইমুড়ী পৌর মেয়রের উদ্যোগে এ বিষয়ে থানা পুলিশ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা প্রশাসন একটি যৌথ সভার আয়োজন করে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হকারদের মাইকিং এর মাধ্যমে
রাস্তা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য বলা হয়। যারা এ আহবানে সাড়া দেয়নি, তাদের উচ্ছেদের করা হয় এবং ৩ জনকে জরিমানা করা হয়। আমাদের এই উচ্ছেদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।