1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

হুসাইন পাটোয়ারি’র বিরুদ্ধে ইমদাদিয়া মাদ্রাসার কাজে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট : শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ৪৩৩ বার দেখা হয়েছে

জামিয়া তালিম ও তাজকিয়া পরিষদ এর আওতাভূক্ত ঢাকার জোয়ার শাহারা এলাকাধীন ইমদাদিয়া আজিজুল উলূম মাদ্রাসা। যার ৫৬ শতাংশ জমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মানের জন্য এল এ কেস নং-১৫/২০১০-১১ এর বলে অধিগ্রহণ করা হয়। বিধিগতভাবে ক্ষতিপূরণ সরকার মাদ্রাসা’র পরিচালনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

সূত্রমতে জানা যায় ২০১৩ সালে পদত্যাগ করার পরেও হুসাইন আহমেদ পাটোয়ারী অধিগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে ক্ষতিপূরনের টাকা বিভিন্ন পন্থায় আত্মসাতের জন্য চেষ্টা চলাচ্ছেন। যাতে ইমদাদিয়া আজিজুল উলূম মাদরাসার প্রাপ্য অধিকার পেতে নানা বিড়ম্বনার মূখে পড়ছে। বারবার হয়রানি হচ্ছেন  ভূমি অধিগ্রহন অফিসের সংশ্লিষ্ঠ ব্যাক্তিরা।

এ বিষয়ে মাদরাসা’র নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা জামিয়া তালিম ও তাজকিয়া পরিষদ বাংলাদেশ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে জানায় হুসাইন আহম্মেদ পাটোয়ারি ২০১৩ সালে তাদের আওতাধীন ইমদাদীয়া আজিজুল উলূম মাদ্রাসার মুহুতামিম পদ থেকে তাদের কাছে আবেদন পত্রের মাধ্যমে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং তাঁরা মাওলানা হুসাইন আহমেদ পাটোয়ারীর অব্যাহতি মঞ্জুর করেন। এবং সংগঠনটির মুহুতামিম মুহাম্মদ সালাউদ্দিন আরো বলেন হুসাইন আহমেদ পাটোয়ারী সাথে ইমদাদিয়া আজিজুল উলূম মাদ্রাসার কোন কর্মকাণ্ডের সাথে সম্প্রিক্ত নন । এবং মাদ্রাসার কোন কাজে হস্তক্ষেপ অধিকার তাঁর নেই।

এ ব্যাপারে বর্তমান মহুতামিম মাওলানা আব্দুল কলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “হুসাইন পাটোয়ারী সাহেব পদত্যাগ দিয়ে চলে গেছেন ২০১৩ সালে, বর্তমানে আমি মহুতামিম, জেলা প্রশাসক ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ঠ সকল শুনানীতে আমাদের নামে চিঠি ইস্যু করেন এবং তারাও হুসাইন আহমেদ পাটোয়ারীর পদত্যাগ পত্র দেখেছেন, জেলা প্রশাসকের অধিগ্রহন বিভাগের সার্ভেয়ারগণ বারবার পরিদর্শনে এসেছেন, তাঁরাও দেখেছেন হুসাইন পাটোয়ারী এইখানে কোন কর্মকাণ্ডের সাথে সর্ম্পৃক্ততা নেই, তারপরও তিনি মাদ্রাসার ক্ষতিপূরণ এর টাকা আত্মসাৎ করে এল এ শাখার অফিসার গনের কাছে যাতায়াত করেন। এর ফলে তিনি অফিসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে, প্রকৃত ভাবে মাদ্রাসার নেতৃত্বের কাছে মাদ্রাসার পাওনা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে করে কাল বিলম্ব হচ্ছে, মাদ্রাসা তাঁর প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে”।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে এক ফোঁন আলাপে হুসাইন আহমেদ পাটোয়ারী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি রেগে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন, অত:পর বলেন আমার ক্ষমতা আছে তাই আমি এই পর্যন্ত আসছি, আমি এই মাদ্রাসার মহুতামিম, অভিযোগের বিষয়ে কিছু না বলে তিনি ফোঁন কেটে দেন। তাকে আবারো ফোঁন করা হলে তিনি ফোঁন রিসিভ করেননি। হুসাইন পাটোয়ারী’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ সম্পদ গড়া, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি’র বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতাসহ নানা অভিযোগ করছেন অনেকেই, যদিও এইসব বিষয়ে কথা বলতে নারাজ হুসাইন আহমেদ পাটোয়ারী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি