1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

৭০ বছর পেরোল মোংলা সমুদ্রবন্দর

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : ৭০ বছর পার করল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা। ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে মোংলা বন্দর। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঘুরতে শুরু করে মোংলা বন্দরের ভাগ্যচাকা। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ বন্দর। গত ১১ বছরে এ বন্দরের উন্নয়নে ৫০টির বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে সীমিত পরিসরে সকাল ৯টায় র‌্যালি, ১০টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও দুপুরে আলোচনা সভা এবং বন্দরের সাফল্য ও অগ্রগতি কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় কোনো আয়োজন নেই বলে জানিয়েছে বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ।
জানা গেছে, ১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বর বৃটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দি সিটি অব লিয়নস’ সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনির গোল নামক স্থানে নোঙর করে। এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা। পরে ১৯৫১ সালের ৭ মার্চ জয়মনির গোল থেকে ১৪ মাইল উজানে চালনা নামক স্থানে এ বন্দর স্থানান্তরিত হয়ে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম চলে।
এরপরই স্যার ক্লাইভ অ্যাঙ্কনিস পশুর ও শিবসা নদী জরিপের জন্য আসেন। দীর্ঘ বিস্তৃত জরিপের পর তিনি তার রিপোর্টে বন্দরকে চালনা থেকে সরিয়ে মোংলায় নেয়ার প্রস্তাব করেন।
চালনা থেকে ৯/১০ মাইল ভাটিতে মোংলা নদী এবং পশুর নদীর মিলনস্থলে ছিল ‘মোংলা’। এখানে নদীর নাব্যতাও ছিল বেশি। সুবিস্তৃত স্থলভাগ ও বন্দর নির্মাণের জন্য ছিল উপযোগী। উপরোক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৫৪ সালের ২০ জুন এ বন্দরকে সরিয়ে মোংলা নামক স্থানে নিয়ে আসা হয়।
বন্দর যখন চালনায় ছিল তখন এটা ছিল একটা অচেনা গ্রাম। নাম ছিল শেলাবুনিয়া। তবে বন্দর স্থানান্তরের পরই ঘটে তার পরিবর্তন। একটা অচেনা ক্ষুদ্রগ্রাম পায় আন্তর্জাতিক পরিচিতি। মোংলা নদীর তীরে স্থাপন হওয়ায় এ বন্দরের নাম হয় মোংলা। জনশূন্য এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে কলরবে।
একটি সরকারি অধিদফতর হিসেবে যাত্রা শুরু করে ১৯৭৬ সালের মে মাসে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ নামক একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং পুনরায় ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে এটির নাম পরিবর্তন করে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’ করা হয়।
জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় অর্থনীতিসহ এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও মোংলা-রামপালের বর্তমান সংসদ সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের বিশেষ পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতায় মোংলা বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি