Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা বড় আকারের রাজস্বনীতি ঘোষণা করতে হবে – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত যশোরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, দাম বেশি রাখার অভিযোগ

অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা বড় আকারের রাজস্বনীতি ঘোষণা করতে হবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৭৭৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস বিশ্বঅর্থনীতিকে সংকটের মধ্যে ফেলায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এখন অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে বড় আকারের রাজস্বনীতি ঘোষণা করতে হবে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রস্তাবনা সরকারের তরফ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে দেরি না করে এখনই শুরু করা উচিত। কারণ, আগে দেশ রক্ষা; তারপর অন্য কিছু। গত রোববার একটি অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বঅর্থনীতিকে সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতেই ব্যাপক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে উন্নত দেশগুলোয় অর্থনীতির সামগ্রিক সরবরাহ ও চাহিদা সংকোচনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এ সংকটের পরিমাণ এখন নির্ণয় করা বেশ কঠিন। বাংলাদেশের অর্থনীতিও বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশ ও ভারত জাতীয়ভাবে সবকিছু লকডাউন করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও প্রগতির চালিকাশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি মাসে বস্ত্র খাতে দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। এ খাতে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। অনেকের চাকরি হারানোর শংকাও দেখা দিয়েছে। তাই এ সময়ে সরকারকে তারল্য ও ব্যয় বাড়াতে হবে। ঠিক একইভাবে মনিটরিং পলিসিতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আহসান এইচ মনুসর বলেন, করোনা সংক্রমণে চীনে প্রথম প্রান্তিকের শিল্পোৎপাদন ৪০ শতাংশের মতো কমে গেছেÑযা তাদের অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতি। আমাদেরও এমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ সময় আমাদের ইতিবাচক গ্রোথ আশা করা সমীচীন হবে না। দুইটি খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য, বিশেষ করে আরএমজি, চামড়াশিল্প প্রভৃতি পণ্য রফতানি হবে না। এসব পণ্যের সরবরাহ বাতিল হবে। রফতানি ছাড়া আরও বড় ক্ষতি হবে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট খাতে। সব ধরনের বিনোদন ও রিসোর্ট কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ কাজ করে। তারা এখন বেকার। দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রিকশা ও ভ্যানচালকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এদের অবস্থা কী হবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের এখনই ভাবতে হবে। প্রত্যক্ষভাবে প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। পরোক্ষভাবে যা আরও বেশি।
এ রকম পরিস্থিতিতে বিশ্বের সরকারপ্রধানরা দু’টি পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত তারল্য সরবরাহ করা হয় অর্থনীতিতে। যাতে করে প্রতিষ্ঠানকর্মীদের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেতন দিতে পারে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ দিতে দেরি হবে, তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া। তবে এ বিষয়টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক করেছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সাধুবাদ জানাই। তৃতীয় বিষয়টির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সরকারের পক্ষ থেকে বড় আকারের রাজস্বনীতি ঘোষণা করতে হবে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রস্তাবনা সরকার থেকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে দেরি না করে এখনই শুরু করা উচিত। কারণ, আগে দেশ রক্ষা, তারপর অন্য কিছু।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি