1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া না থাকায় ১১০ কিলোমিটার রিকশা চালিয়ে অসুস্থ সন্তানকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে এসেছেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৩৪ বার দেখা হয়েছে

ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরের দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার। গণপরিবহন বন্ধ। সাত মাসের মেয়েকে নিতে হবে রংপুরের হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াও নেই ঠাকুরগাঁওয়ের চার্জার রিকশার চালক তারেক ইসলামের কাছে। অগত্যা শনিবার সকালে রিকশা চালিয়ে মেয়েকে নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। আগের দিন রাতে ঝড় হওয়ায় রিকশা ঠিকমতো চার্জ দিতে পারেননি তিনি। ধীরগতিতে চলা রিকশার চার্জ শেষ হয়ে যায় পথে। অবশেষে অন্যদের সাহায্য নিয়ে ৯ ঘণ্টায় শনিবার বেলা ৩টার দিকে মেয়েকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান তারেক।

এখন হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসাসেবা চলছে। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক্স–রে করা হয়েছে। শিশুটি আপাতত সুস্থ রয়েছে। শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী রেজিস্ট্রার উপেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শিশুটির পেটে নাড়ি পেঁচিয়ে যাওয়ার ঘটনা হতে পারে। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। এক্সে–রেসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে শিশুটি আগের থেকে এখন অনেক ভালো রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে এ ধরনের একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ একটি সুপারশপ প্রতিষ্ঠান শিশুটির চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে এসেছে।

তারেক ইসলাম  বলেন, সাত মাস বয়সী শিশু জান্নাত রক্ত পায়খানা করায় ১৩ এপ্রিল রাতে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলা অবস্থায় পরদিন ১৪ এপ্রিল চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করেন। কিন্তু কীভাবে রংপুরে আসবেন? লকডাউনে পরিবহন বন্ধ। ওই সময় তাঁর কাছে রযেছে মাত্র ২০০ টাকা। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার কথা ভাবতেও পারছিলেন না। অন্যের কাছে ধানদেনার চেষ্টা করেও কিছু পেলেন না। অবশেষে নিজের রিকশা চালিয়েই সন্তানকে নিয়ে রংপুরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি ছিলেন।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে রংপুর নগরে অবস্থিত স্বপ্ন সুপারশপ শিশুটির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের আশ্বার দিয়েছে। স্বপ্নর অপারশেন ম্যানেজার ফয়সাল শামস বলেন, ‘খবরটি জানার পর আমরা নিজ উদ্যোগে খোঁজখবর নিয়েছি। শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।’

তারেক ইসলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দক্ষিণ সালন্দর গ্রামের রামবাবুর গোডাউন এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। বিয়ের পর স্ত্রী সুলতানা বেগমকে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু করেন। সংসারজীবনে তাঁর ৯ বছর ও ৩ বছর বয়সী আরও ২ মেয়েসন্তান রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি