খনিজ সম্পদে ভরপুর বিশ্বের একটি অন্যতম দেশ কাতার। তাদের এই অর্থনৈতিক শক্তিকে বৈশ্বিক প্রভাবে রূপান্তর করার একটি বড় নিদর্শন হচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম আল জাজিরা। কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানির হাত ধরেই যাত্রা শুরু আল জাজিরার। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই নেটওয়ার্কটির পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।
আল জাজিরা শুরু থেকেই আরব বিশ্বের দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে আসছে। আরব ও মুসলিম বিশ্ব সম্প্রদায় যেসব বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠান দেখতে চায়, ঠিক তেমন অনুষ্ঠান বানানো শুরু করে টেলিভিশনটি শুরু থেকেই। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে চটকদার সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে। অখ্যাত জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে চ্যানেলটি। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বিশ্বের সব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে শুরু করে তারা। অভিযোগ আছে, কাতারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে চ্যানেলটি।
আরব দেশগুলোকে নিয়ে নানান রকম নিউজ সম্প্রচার করে এক ধরনের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে থাকে আল জাজিরা। টিভি চ্যানেলটির ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। বার বার আল জাজিরার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার জন্য আহ্বান জানায় বিভিন্ন দেশ। কিন্তু সেদিকে কর্ণপাত করেনি আল জাজিরা। ফলে একটা সময় সৌদি আরব, মিসর ও জর্ডান চ্যানেলটির ব্যুরো অফিস বন্ধই করে দেয়। সৌদি আরব চ্যানেলটির কাছে হোটেল ভাড়া দেওয়াও নিষিদ্ধ করে।
ভুয়া সংবাদ সম্প্রচারের অভিযোগ এনে টিভি চ্যানেলটি বন্ধ করার জন্য কাতারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে অন্য আরব দেশগুলোও। কাতারের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক যুদ্ধ থামানোর জন্য অন্যতম পূর্বশর্তও এটি দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, কাতার চাইছে নিজস্ব প্রভাব বিস্তার করে বৈশ্বিক রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়ার। আর সেটি বাস্তবায়ন করে চলেছে আল জাজিরা।
সূত্র : বাংলা ইনসাইডার