Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ই-কমার্সে প্রতারণার প্রাথমিক দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের: অর্থমন্ত্রী – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

ই-কমার্সে প্রতারণার প্রাথমিক দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের: অর্থমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৬৫৯ বার দেখা হয়েছে

ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারও না কারও ছাড়পত্র নিয়েই করা হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সঙ্গে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের সবারই আমি মনে করি দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ই-কমার্সে প্রতারণা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব না। মূলত কাজটি এখন আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আছে, তারা এসব বিষয় নিয়ে আসে আমাদের এখানে। আইটির বিষয় আছে, সেখানে আইসিটি মিনিস্ট্রি আছে, তারাও দায়িত্ব নেবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যে তৈরি করে মানুষকে ঠকায়। এটা কিন্তু চলে আসছে। আগে যেভাবে হতো, সেটি এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আসছে। আগে ম্যানুয়ালি করতো, এখন ইলেক্ট্রিক্যালি করছে। ডিজিটালাইজড ওয়েতে করা হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাস করে এখন, কতদিকে নিয়ন্ত্রণ করবে? সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে অবশ্যই। সরকারই দায়িত্ব নেবে। সরকার দায়িত্ব এড়াবে কেন?

ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বিভিন্ন অফিস ঢাকার বাইরেও করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বাইরে অফিস করা হবে কি না সেটা অন্য মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে। যে অফিসগুলো আছে, আমরা কোনো এক সময় ঢাকায় এসেছি। আমরা লেখাপড়া, চাকরি সব করেছি ঢাকায়। আগে ঢাকার বাইরে কিছু ছিল না। আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বলেছি ঢাকার মধ্যে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকবে পর্যায়ক্রমে সেই সুযোগ-সুবিধা আমাদের উপজেলা-জেলা লেভেলে নিয়ে যাবো। সেভাবেই কাজ হচ্ছে। এখন আমরা সেজন্য বারবার বলে আসছি, শহর আর গ্রামের যে ফারাক সেটা থাকবে না। ক্রমান্বয়ে এ ফারাক কমে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখার জন্য। উপজেলার মানুষকে উপজেলায় রাখার জন্য। এজন্য গ্রামের অবকাঠামো, গ্রামীণ মানুষের জন্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া, আরও অনেক কিছু করতে হবে। সেটি আমরা করে যাচ্ছি। এখন গ্রামের দিকে তাকালে দেখবেন অনেক কিছুই এখন গ্রামে আছে। গ্রামে অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। রাস্তা, হাসপাতাল সবই আছে। আমি মনে করি যে সুযোগ-সুবিধা থাকলে তারা শহরে আসবে না। আগে দেখার জন্য ঢাকায় আসত, এখন কক্সবাজার যায়। কিছুদিন পর পদ্মা দেখার জন্য মাওয়া যাবে। ভ্রমণের জন্য ঢাকায় আসত, এখন আর ঢাকায় আসবে না। এখন অন্য জায়গায় যেতে আমরা উৎসাহিত করি।

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমালেও প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, লক্ষ করলাম সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এ কারণে সবাই এখানে চলে এসেছে। অর্থনীতির অন্য চালিকা শক্তিগুলো এতে সমস্যায় পড়েছে। মুনাফার হার কমানো হয়েছে, তবে প্রান্তিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে হাত দেওয়া হয়নি।

এ সময় নতুন করে যে হার করা হয়েছে, তাতে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরুৎসাহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে রাখা আছে।

সুদের হার কমানোর ফলে সরকারের সাশ্রয় হবে কত, এমন প্রশ্নের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী।

তবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ দেখেছি। মুনাফায় হার বাড়ানো, কমানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। প্রয়োজনে বাড়তেও পারে আবার।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি