1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন

উত্তেজনার মধ্যেই বাইডেন-এরদোয়ানের বৈঠক

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১
  • ২১৩ বার দেখা হয়েছে

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বৈঠক করেছেন। ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মানবাধিকার ও এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। রোববার (৩১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোচনায় বাইডেন এরদোয়ানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের বিষয়ে বলেন, এটির জন্য আমেরিকায় একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে যে মতবিরোধ রয়েছে তা যথাযথভাবে পরিচালোনা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন বাইডেন।

প্রতিরক্ষা ও মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তারা বৈঠক করলেন। আগে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিক্রি করার বিরোধিতা করেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, একটি ইতিবাচক পরিবেশে বৈঠকটি হয়েছে। তুরস্ক-মার্কিন সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক ইস্যুতেও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

বৈঠকের পরে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বের ও ন্যাটোর মিত্র হিসেবে তুরস্কের গুরুত্বের কথা বলেন বাইডেন। তবে রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ক যে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয় করেছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।

বৈঠকে বাইডেন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য আইনের শাসনের ওপর জোর দেন বলেও হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে জানানো হয়।

তুরস্কের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, উভয় নেতা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি যৌথ প্রক্রিয়া গঠনে সম্মত হয়েছেন।

এর আগে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ দশ দেশের রাষ্ট্রদূতকে পার্সোনা নন গ্রাটা বলে ঘোষণা করেছিলেন। তার পরের ধাপই হলো রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করা। কিন্তু পরে এরদোয়ান তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূতরা তুরস্কের মানবাধিকারকর্মী ও জেলে বন্দি ওসমান কাভালাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরে তারা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তারা আর মন্তব্য করবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি