1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কোনো দল না করলেও সবাইকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

সবাইকে রাজনৈতিক দল করতে হবে এমন নয়, তবে সবাইকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে এ রকম ধারণা আছে—‘আমি রাজনীতিতে থাকি না বাবা’। কিন্তু আমরা যা কিছু করছি, তার সব সিদ্ধান্তই নিচ্ছে রাজনীতি। আমি যদি রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখি, যদি ভাবি আমি ওর কাছে যাবো না। তার মানে হচ্ছে, আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি না। আমি সচেতন না।

জাতীয় নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে রাজনীতি নারীর পক্ষে, মানুষের পক্ষে, অধিকারের পক্ষে, বৈষম্যহীনতায় বিশ্বাস করে, অসাম্প্রদায়িক; নারীকে সেই রাজনীতিই বেছে নিতে হবে।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, নারীবান্ধব গণমানুষের রাজনীতি আছে বলেই ২০২২ সালে নারীদের অবস্থান এমন। যদি তা না হতো, তাহলে ২০০১-০৬ যে বাংলাদেশ পেয়েছিলাম, দেশের অবস্থা তেমন বা তার চেয়ে বেশি খারাপ হতো।

ডা. দীপু মনি বলেন, নারীর অধিকার তো রাজনৈতিক বিষয়। সকাল বেলা কল ছাড়লে পানি আসে- এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমার বাচ্চাটি স্কুলে পড়তে যায়- সেটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমার খাবার আসে সেটিও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। সেই নারীকে নিজের স্বার্থে, শতভাগ জনগণের স্বার্থে সেই রাজনীতিকে বেছে নিতে হবে, যে রাজনীতি নারীর পক্ষে, মানুষের পক্ষে। যে রাজনীতিক দল অসাম্প্রদায়িক সেই রাজনীতিকেই বেছে নিতে হবে। আজ ২০২২ সালের যে বাংলাদেশ পেয়েছি, তা এগিয়ে নিতে হবে বহুদূর।

নারীর অধিকার ও রাজনীতি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে রাজনীতি মানুষের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়, নারীকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, নারীর অধিকারকে মানবাধিকারের স্বীকৃতি দেয়, আমার সেই রাজনীতিই দরকার। যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, যারা সেই অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, রাষ্ট্রের উচ্চতম পর্যায়ে পদায়ন করা হয়; তারা তো সরাসরি নারীবিদ্বেষী। নারীর অধিকার লঙ্ঘন করার সব কায়দা কানুন তো তাদের মাধ্যমেই হবে। কাজেই নারী নিশ্চয়ই সেই রাজনীতিকে সমর্থন দেওয়া উচিত নয়। যারা সমাজে প্রগতির কথা ভাবেন, তাদেরও সেই রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণ নেই। এটি সমাজের তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে নারীর সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আজ যারা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন, সেখানেও নারীর অবস্থান তৈরি হয়নি। এটি সত্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। অথচ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারীর অবস্থান এখনও কম। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এত বিশাল মন্ত্রণালয়। আমি মন্ত্রী এবং নারী। মাঠ পর্যায়ে অনেক শিক্ষক আছেন নারী। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারী খুব কম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালের নারী নীতিমালা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯৯৭ সালের নারী নীতির মৌলিক কতগুলো বিষয় ছিল। সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারসহ বিভিন্ন মৌলিক বিষয় ছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে রাতের অন্ধকারে সেই নারী নীতিকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হলো। কারণ তখন যে সরকার, সেই সরকারের মূল অংশে ছিল একটি মৌলবাদী দল। মূল দলটিও নারী বিদ্বেষী, তার যথেষ্ট প্রমাণও আছে। এরপর আবার যখন ২০১১ সালে নারী নীতিটি করলাম, তখন মৌলিক যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, আমাদের রাজনীতির যে চেহারা এতখানি পাল্টে গেলো; আমরা ১৯৯৭ সালের নীতিমালার মৌলিক জায়গায় ফিরে যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের ওই জায়গায় যেতে হবে।

দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এবং পুরো পৃথিবী থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করতে হবে। সামাজিক, সাংস্কৃতি, ধর্মীয় রীতি-নীতিতে একজন নারীকে অনেক বেশি ‘না’ শিখতে হয়। এমনকি জোরে হাসলেও যেন একটি অপরাধ। এত বেশি না না শুনতে শুনতে একজন নারীর চারপাশে একটি শক্ত দেয়াল তৈরি হয়। এটি ভেঙে বের হওয়াই তো একজন নারীর জন্য শক্ত যুদ্ধ। অধিকাংশ মেয়েরা দেয়ালটা ভেঙে বের হতে পারে না। দেয়ালটাকে ভাঙার জন্য নারীকে সাহস জোগাতে হবে। নারীকে তার অন্তর্নিহিত শক্তিটাকে উপলদ্ধি করতে হবে। সেই শক্তি দিয়ে নারীকে সব জয় করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি