Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : ১২ দিনের রিমান্ডে কালাম-সাহেদ – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ নির্ধারণ করে দিলো সৌদি উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : ১২ দিনের রিমান্ডে কালাম-সাহেদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭৫৪ বার দেখা হয়েছে
গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : ১২ দিনের রিমান্ডে কালাম-সাহেদ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় আদালতে নেওয়ার পর রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে কালাম ও সাহেদকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : ১২ দিনের রিমান্ডে কালাম-সাহেদ নোয়াখালী প্রতিনিধি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক মাসফিকুল হক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল। তিনি বলেন, দুপুরে আবুল কালাম ও শাহেদকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিকেলে আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয়া হলো। ৪ সেপ্টেম্বর নারী নির্যাতনের দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ৬ অক্টোবর রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিনি। মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বুধবার রাতে উপজেলার একলাশপুর থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়। এর আগে মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ারের সহযোগী আবুল কালামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করে রাতেই বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরই মধ্যে মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মেয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালান এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে হামলাকারীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক মাসফিকুল হক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল।

তিনি বলেন, দুপুরে আবুল কালাম ও শাহেদকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিকেলে আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয়া হলো।

৪ সেপ্টেম্বর নারী নির্যাতনের দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ৬ অক্টোবর রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিনি।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

বুধবার রাতে উপজেলার একলাশপুর থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।

এর আগে মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ারের সহযোগী আবুল কালামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করে রাতেই বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরই মধ্যে মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মেয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন।

একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালান এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে হামলাকারীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি