চট্টগ্রাম নগরে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর প্রতিমা বিসর্জন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। নগরের সবচেয়ে বড় জেএমসেন হল পূজামণ্ডপ এলাকায় হামলার প্রতিবাদে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্তে এ প্রতিবাদ জানান তারা। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৬ অক্টোবর) আধাবেলা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে একদল লোক মিছিল নিয়ে জেএমসেন পূজামণ্ডপে এলাকায় পৌঁছান। ওইসময় তারা মণ্ডপের আগে থাকা ট্রাফিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। এরপর তারা মণ্ডপে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে গেট বন্ধ থাকায় মণ্ডপে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তারা গেটে ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলেন।
অন্যদিকে ঘটনার পর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা মণ্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর নিরাপত্তার অজুহাতে প্রতিমা বিসর্জনে বিরত থাকেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিমা বিসর্জন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাকর্মীরা জানান, প্রতিবছর বেলা ১১টার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু এবার প্রশাসনের নির্দেশনায় জুমার নামাজ শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আগ মুহূর্তে জেমএমসেন পূজামণ্ডপে হামলা হলে প্রতিমা বিসর্জন থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সবশেষ প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাসে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘মণ্ডপে হামলার পর আমরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। তাই পূর্বনির্ধারিত সময় আড়াইটার দিকে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়নি। প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহানগর এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।’
জেএমসেন পূজামণ্ডপে হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘শনিবার চট্টগ্রামে আধাবেলা হরতাল পালন করা হবে। যেকোনো মূল্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’