বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’ বা আরসার উপস্থিতির তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে, তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে যদি তথ্য থাকে তাহলে আরসা সদস্যদের ধরে ফেরত পাঠানো হবে। এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ যদি তাদের চিনিয়ে দেয় তাহলে আরসার সদস্যদের ধরে ফেরত পাঠানো হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচলের সুবিধা চায় জাতিংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও নানা শঙ্কার কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী ২২শে ডিসেম্বর মালদ্বীপে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া বিষয়ক বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এছাড়া মালদ্বীপের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন বলেও জানান তিনি।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মালদ্বীপের কাছে সামরিক যানবাহন হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এ কে আব্দুল মোমেন। মালদ্বীপে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশিদের সেখানকার নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারেও দেশটি ইতিবাচক এমন তথ্যও দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মালদ্বীপের সাথে এই সফর রাজনৈতিক কিছু নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব নীতিতেই এই সফর বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।