অন্য কেউ নন জাতীয় পতাকা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধারই প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের(ডিএসসিসি) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন। আজকে একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে তাকে জাতীয় পতাকা বেষ্টিত করে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এটা অন্য কেউ পেতে পারে না।
একমাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধাই পেতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শহীদ মতিউর পার্কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানই নিজের বড় পরিচয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি কোনও মেয়র না, আমি ব্যারিস্টার না, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেটাই আমার বড় পরিচয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নগর ভবনের দরজা সব সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত ও করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকা হতে সম্মানি ভাতা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন,ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা-৪ আসনের সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ আসনের মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা-৬ আসনের কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৭ আসনের হাজি সেলিম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া এবং ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কন্ঠশিল্পী রফিকুল ইসলাম ও দিনাত জাহান মুন্নী সঙ্গীত পরিবেশন করবেন এবং নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ নৃত্য প্রদর্শন করেন। এছাড়াও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় বসবাসকারী ও সম্মানি ভাতা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৯৬৬ জন। তন্মধ্যে ৫৬ জন প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।