জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে দায়িত্ব গ্রহণের আগের দিন অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশ ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জার্মানিকে সংযুক্ত থাকার আহ্বান জানান এবং জার্মানির সহযোগিতার কথা স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন জার্মানির প্রায় আট মিলিয়ন করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের অনুদানের প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সবুজ পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও ইঞ্জিনে জার্মান বিনিয়োগ সহজতর করতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা জার্মান কোম্পানি কর্তৃক বাস্তবায়িত ই-পাসপোর্ট প্রকল্প এবং সহযোগিতার অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রের অগ্রগতি সম্পর্কেও মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশি তরুণ আবেদনকারীদের জন্য শিক্ষার্থী ভিসা প্রদান করতে জার্মান দূতাবাসের প্রতি আহ্বান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত পরিষেবায় সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।