Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
‘টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো লজ্জার কিছু নয়’ – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত যশোরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, দাম বেশি রাখার অভিযোগ

‘টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো লজ্জার কিছু নয়’

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২
  • ১৩৭ বার দেখা হয়েছে

কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম মেইন রোডে গতকাল টিসিবির ট্রাক এসে পৌঁছায় বেলা একটার দিকে। তখন সেখানে ৩৭ জন ছিলেন। এরপরও কে কার আগে লাইনে দাঁড়াবেন, এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। বেলা পৌনে দুইটার দিকে এ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা (রিকশভ্যানে করে ফল বিক্রি করেন) ইসমাইল। টিসিবির ট্রাক দেখে তিনিও লাইনে দাঁড়ান। তিনি লাইনে দাঁড়ানো অবস্থাতেই শুনতে পান, ট্রাকে থাকা ওজন মাপার একটি যন্ত্র (তিনটি ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র ছিল) নষ্ট হয়ে গেছে। এটি শুনে তিনি টিসিবির পরিবেশকের বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে বলেন, তাঁর রিকশাভ্যানে একটি ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে। পরে নিজের ভ্যানে থাকা ওজন মাপার যন্ত্র দিয়ে বিক্রয়কর্মীদের সহায়তা করেন তিনি। বেলা আড়াইটার দিকে পণ্য হাতে পেয়ে মুখে হাসি ফোটে ইসমাইলের। বললেন, ভিড় কম থাকায় দ্রুত পণ্য পেয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা ওজন মাপার যন্ত্রটিও কাজে দিয়েছে। তা না হলে আরও দেরি হতো। অবশ্য যাওয়ার সময় ওজন মাপার যন্ত্রটি তিনি নিয়ে যান।

কামরাঙ্গীরচরে গতকাল টিসিবির ট্রাক থেকে ছয় পণ্যের ৭২০ টাকার প্যাকেজ কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এর মধ্যে ছিল খেজুর (এক কেজি ৮০ টাকা), চিনি (২ কেজি ১১০ টাকা), মোটা দানার মসুর ডাল (২ কেজি ১৩০ টাকা), সয়াবিন তেল (দুই লিটার ২২০ টাকা), ছোলা (২ কেজি ১০০ টাকা) ও পেঁয়াজ (চার কেজি ৮০ টাকা)।

নারীদের লাইনে থাকা অনেকেই পণ্য কেনার পর পেঁয়াজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্যাকেজে কেনা চার কেজি পেঁয়াজের মধ্যে প্রায় এক কেজি নষ্ট থাকছে বলে জানান তাঁরা।

কামরাঙ্গীরচরে গতকাল টিসিবির পরিবেশক ছিল সিগমা প্যাসিফিক। পেঁয়াজ নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে পরিবেশকের বিক্রয় প্রতিনিধি গোলাম হাক্কানি প্রথম আলোকে বলেন, যে পেঁয়াজ তাঁরা টিসিবির গুদাম থেকে আনেন, সেই পেঁয়াজই বিক্রি করেন।

নারীদের লাইনে কিছুক্ষণ পরপরই হট্টগোল হচ্ছিল। এর কারণ কেউ কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে বলতেন, তাঁর সঙ্গে আরও একজন বা দুজন আছেন। তাঁরা পরে আসবেন। এটি অনেকেই মানতে চাইতেন না। এরপর হট্টগোল শুরু হতো। লাইনে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, সে চেষ্টা করছিলেন রুনা বেগম নামের এক নারী। স্বামী ও দুই সন্তান মিলে চারজনের সংসার রুনার। তাঁর স্বামী নির্মাণশ্রমিক।

রুনা বেলা দুইটার দিকে লাইনে দাঁড়ালেও পণ্য হাতে পান বিকেল পাঁচটার দিকে। এর কারণ নারীদের লাইনে ক্রেতার সংখ্যা পুরুষদের লাইনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি ছিল। রুনা জানান, স্থানীয় একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন। তাঁদের প্রতি সপ্তাহে বেতন দেওয়া হয়। তিনি পান ১ হাজার ৫০০ টাকা। আক্ষেপ করে বললেন, গত ঈদুল আজহার পর আর তাঁদের ঘরে গরুর মাংস রান্না হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি