Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ডেঙ্গুর প্রকপ বেড়েই চলছে – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

ডেঙ্গুর প্রকপ বেড়েই চলছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১৪৫ বার দেখা হয়েছে

করোনা সংকটের মধ্যেই দেশে ডেঙ্গু বিস্তারের পরিধি বাড়ছে। নতুন করে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। বরিশালের নতুন ৪টি জেলাসহ এখন ২০ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। এ নিয়ে চলতি বছরের মোট ২৯ জেলায় ডেঙ্গু পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো এলাকায় রোগী পাওয়া মানে ওই এলাকায় ডেঙ্গু বাহক এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র রয়েছে। রোগী কম হলেও চিহ্নিত এলাকাগুলো গুরুত্ব দিতে হবে। এসব এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে।

কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জুলাই মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও উপযুক্ত তাপমাত্রায় এডিস মশা জন্মানোর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মশা জন্মানোর স্থানগুলোতে কীটনাশক না ছিটালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত (৩ আগস্ট) বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৬ জন। এরমধ্যে রাজধানীতে ৩ হাজার ৩২৮ জন ও ঢাকার বাইরে ১১৮ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ৩৭০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ১ হাজার ৭২ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ২৫ জন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন রোগী।

হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশনস সেন্টার জানায়, মহানগর ব্যতীত ঢাকা বিভাগের ৯ জেলায় ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর। এসব জেলায় ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৬ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

চট্টগাম বিভাগের চট্টগাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সর্বমোট ৯ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে বর্তমানে ৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ১৪ জন রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে খুলনা বিভাগে। চলতি বছর এ বিভাগে ৩৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। এরমধ্যে খুলনা সদরে ১ জন, যশোরে ২৩ জন, নড়াইলে ৪ জন, কুষ্টিয়ায় ১ এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন। যার মধ্যে ২৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে ১ জন করে মোট ৩ জন রোগী পাওয়া গেছে। তিনজন রোগীই বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর বরিশাল বিভাগের সদর জেলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে ১ জন করে ৪ জন রোগী পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সিলেট ও রংপুর বিভাগে এখনো কোনো ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। এছাড়া দেশে এখনো ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু নিশ্চিত হয়নি। তবে ডেঙ্গু সন্দেহে ৪টি মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির তথ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তির দিনই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব হয় না বিধায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে তারা ডেঙ্গু রোগী কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

মানুষের দেহে ডেঙ্গু ছড়ায় মশার মাধ্যমে। এডিস মশা এই রোগের বাহক। এডিস মশা জন্মায় আবদ্ধ জলধারায়। বাসাবাড়ির টবে, ফ্রিজের পেছনে জমে থাকা পানি, এসির পানি, কমোডে আটকে থাকা পানি ইত্যাদিতে বংশবিস্তার করে। এছাড়া রাস্তার খানাখন্দ, পড়ে থাকা পুরনো টায়ার, যেকোনো রকমের পাত্র, জেরিক্যান, মোটকথা যেখানে পানি কিছুদিন জমে থাকতে পারে, সেখানেই এদের বসবাস ও প্রজনন। এই মশা কামড়ায় সাধারণত দিনের বেলায়। বিশেষ করে শেষ বিকেলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশার আবাস ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে পারলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এজন্য বসতবাড়ির আবদ্ধ জলাধার ধ্বংস করতে হবে। ফ্রিজের বা এসির পানি পরিষ্কার করতে হবে। বাসার বারান্দায়, টেরিসে বা কার্নিশে খোলা টব থাকলে সেটা পরিষ্কার করতে হবে। রাস্তার আশপাশের খানাখন্দ ভরাট করে ফেলতে হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ছাড়াও নাগরিক হিসেবে ডেঙ্গু রোধে দায়িত্ব নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি