স¤প্রতি নরসিংদী উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি সামাজিক সংগঠন এই মর্মে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পরিকল্পনামন্ত্রীর নিকট দাখিল করেছে। এতে সুপারিশ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু, সাবেক শিক্ষা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান। এছাড়া একই পত্রে পূর্বে সুপারিশ জানিয়েছিলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী। তারা সবাই জনস্বার্থে রাস্তাটি নির্মাণ করা জরুরি বলে তাদের সুপারিশনামায় উল্লেখ করেছেন।
নরসিংদী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলহাজ সৈয়দ মাহমুদুলাহ মীর জানিয়েছেন, নরসিংদী থেকে ঢাকার সড়কপথে দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। ’৭০ দশকে নরসিংদী থেকে তারাব হয়ে ঢাকা যাতায়াত করতে সময় লাগত ১ ঘণ্টা। ’৮০ দশকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চালু হওয়ার পর নরসিংদী থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগত ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। তবে রাস্তা যানজটমুক্ত থাকলে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকা যাওয়া যেত। ’৯০ দশকের পর থেকেই ঢাকা যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ে। ১ ঘণ্টার জায়গায় এখন ৩ ঘণ্টায়ও ঢাকা পৌঁছা যায় না। বিভিন্ন দিক দিয়ে ছোটখাটো অনেক বাইপাস সড়ক নির্মিত হয়েছে। এরপরও যানজটের ধকল থেকে মানুষ বাঁচতে পারছে না। নরসিংদীর পাঁচদোনার মোড় থেকে রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত মাত্র ১৫ কিলোমিটার লম্বা একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হলে নরসিংদীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার যাত্রী অনায়াসেই ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার সাথে নরসিংদীর দূরত্ব কমে যাবে ৩৫ কিলোমিটার। এ বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করা হলে মানুষের কর্মঘণ্টা বেড়ে যাবে। জ্বালানি তেল খরচ হবে কম। জিনিসপত্রে মূল্যও হ্রাস পেয়ে যাবে অনেকাংশে। তিনি আরো জানিয়েছে, কাঞ্চন ব্রিজ থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়ে পূর্বাচল ৩০০ ফুট রাস্তা দিয়ে সরাসরি বনানী এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন রাস্তায় ঢাকায় ঢোকার সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি একটি নকশা এঁকে ঢাকা প্রবাসী নরসিংদীর রাজনীতিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী ও চাকরিজীবীসহ সকল মহলের সাথে যোগাযোগ করে সকলের পরামর্শক্রমে এ প্রস্তাবনাটি পরিকল্পনামন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করেছেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের নিকট প্রেরণ করেছে।