1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পত্রিকায় অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের প্রতিবাদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১
  • ৭১৯ বার দেখা হয়েছে

১. এয়ারমার্ক বাংলো ভাড়া – সাবেক উপাচার্য ২০১৬ সাল থেকে তাঁর কার্যকালে বাংলোর পূর্ণ ভাড়া পরিশোধ করেছেন।এই বাংলোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবন হিসেবে নির্মিত হয়েছে। প্রথম উপাচার্য থেকেসকল উপাচার্য এই বাংলোতে থেকেছেন এবং সরকারি বিধি মোতাবেক ভাড়া পরিশোধ করেছেন। একমাত্র প্রফেসরসাইদুল হক চৌধুরী উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে বাংলোকে ভিভিআইপি গেস্ট হাউজ ঘোষণা করে তাঁর শয়নকক্ষেরভাড়া পরিশোধের নিয়ম করেছিলেন। কিন্তু তিনি বাড়িভাড়া ভাতা উত্তোলন করেছেন জাতীয় বেতন স্কেলে জেলা শহরের জন্য নির্ধারিত হারে (মূল বেতনের ৩৫%)। সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান ভিআইপি গেস্টদের থাকার
ব্যবস্থা বহাল রেখেই সরকারি বিধি অনুযায়ী পূর্ণ ভাড়া পরিশোধ করেছেন। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ০৭ জুনবিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের প্রথম দিন থেকেই তিঁনি বাংলোতে অবস্থান করেছেন। যদিও বাংলোটি নয়মাস খালি পরেছিলো।
পরবর্তীতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান ২০১৯’ উপলক্ষ্যে এই বাংলোটিকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করাহয়। ২৫ ফেব্রæয়ারি সমাবর্তন দিন মহামান্য রাষ্ট্রপতি (মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ) এই বাংলোতে কিছু সময় অবস্থান করেন।এ উপলক্ষ্যে ৭২ ঘন্টা উপাচার্যের বাংলোটি বঙ্গভবনের বর্ধিত কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সাবেক উপাচার্য দায়িত্বপালন শেষে ৩০ মে ২০১৯ তারিখে বাংলো ত্যাগকালে এটিকে দেশের একটি আধুনিকতম উপাচার্যের বাসভবন হিসেবে
রেখে আসেন।‘আগে থেকেই উপাচার্যরা এভাবে বাড়িভাড়া ভাতা নিয়েছেন’ – বর্তমান উপাচার্যের এই দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। বর্তমান উপাচার্য নোবিপ্রবি ভিআইপি গেস্ট হাউজ ও উপাচার্যের বাংলোতে থাকেন এবং বেআইনিভাবে প্রাপ্যতার অনেক বেশি অর্থ বাড়ি ভাড়া ভাতা বাবদ উত্তোলন করে আসছেন, যা ইউজিসি কর্তৃক আর্থিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি
হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

২. পাজেরো জিপ ঢাকায় ব্যবহার : নোবিপ্রবি’তে ২০১২ সালে কেনা পাজারো জিপটিই ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ছিল উপাচার্যের জন্য একমাত্র গাড়ি। এই সময়কালে ঢাকায় ছিলেন নোবিপ্রবি’র অতিথি ভবনে গাড়িটি রাখার কোন
সুযোগই ছিল না। এমনকি ২০১৫ সালে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য মিলে একটি গাড়ি। উপাচার্যের দ্বিতীয় গাড়িটি ক্রয়করা হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। ২০১৯ সালের দিকে এটি মাঝে মাঝে দাপ্তরিক প্রয়োজনে ঢাকায় থাকতো। সাবেক উপাচার্যের আত্মীয় স্বজন কখনোই এই গাড়িটি ব্যবহার করেননি। সুতরাং ‘২০১২ সাল থেকে পাজেরো জিপটি ঢাকা¯’
অতিথি ভবনে নেওয়া হয় এবং এরপর থেকে গাড়িটি সেখানেই রয়েছে’ – বর্তমান প্রশাসনের এ ধরণের বক্তব্য সম্পূর্ণঅসত্য ও বিভ্রান্তিকর ।্এমতঅবস্থায় বর্তমান প্রশাসনের এ ধরণের বক্তব্য না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক দলিলাদি অনুযায়ী সঠিক তথ্যনির্ভর বক্তব্য প্রদান
করা একান্ত কাম্য। সঠিক তথ্য গোপন করে এবং তা প্রয়োজনে সরবরাহ না করে মিথ্যাকে সত্য বলা বা সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করা
যায় না। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বে”ছাচারিতার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর এগুলো করে ‘পূর্ব থেকেই চলেআসছে’ বলে আগের প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দু:খজনক। এখানে উল্লেখ্য যে,
আমার চারবছর দায়িত্ব পালনকালে কঠোর পরিশ্রম করে শতভাগ সততা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টা দিয়ে নোবিপ্রবিকে দূর্নীতি, অনিয়ম, ইভটিজিং ও মাদক মুক্ত এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিকভাবে সুশৃঙ্খল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নোবিপ্রবি সুনাম অর্জন করেছিলো। আমি
দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই নোবিপ্রবি পরিচালনায় কেহ আমার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে কোন ধরণের দূর্নীতি বা অনিয়মের কোন অভিযোগ
উত্থাপন করা কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি