1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা ৫নং চর জুবলিবাসীর উন্নয়নে রোকসানার স্বপ্ন বিশ্বাস

গোলাম মোস্তফা বুলবুল
  • আপডেট : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
  • ৬০৩ বার দেখা হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : স্থানীয়দের সমর্থন, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক পরিবারের পুত্রবধু রোকসানা স্বামী এবং পুরো শ্বশুর পরিবারের অনুপ্রেরণায় চরজুবলিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত ইউনিয়নবাসীর সুখে, দুঃখে নিজেকে অংশীদার করতে চান।
লোকদেখানো জনসেবকদের বদলে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি হিসেবেব সমাজব্যবস্থার ঘুনেধরা চেহারা বদলে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন একজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী। রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিজীবনে প্রতিটি মানুষকেই একজন সভ্য, সম্ভ্রান্ত ও স্বাবলম্বী হিসেবে দেখার স্বপ্ন তাঁর। মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্দি দেখলে নিজেই আত্মতৃপ্ত হন।

এমন কথাগুলো বলছিলেন রোকসানা আক্তার। রাজনৈতিক পরিবারেই জন্ম নেয়া সব্য ও সম্ভ্রান্ত সু-গৃহিনী রোকসানা। বাবা আবু তাহের চৌধুরী বেদুমিয়া এক সু-দীর্ঘকাল কবিরহাট উপজেলার বৃহত্তর চাপরাশির হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে সততা,যোগ্যতায় একনিষ্ঠ দায়িত্ব পালন করে পুরো জেলায় খ্যাতি অর্জন করেন। বাবার পদাঙ্ক অনুকরণে মানুষের জন্যে কিছু করতে পারলে নিজেকে স্বার্থক মনে করেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা রোকসানা। সুবর্ণচরের চরজুবলিতে শ্বশুর সম্ভ্রান্ত ছৈয়দের রহমান চৌধুরী পরিবারের পুত্রবধূ রোকসানা জানান, তার আপন ভাসুরের স্ত্রী সালমা চৌধুরীও বর্তমান এ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে রয়েছেন। তার দেবর জাকির হোসেন শিমুল সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনকালে এ উপজেলায় ছাত্রলীগকে একনিষ্ঠ, কর্মময়, গণমূখী ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালীকরণে যে উদ্যোগ, আয়োজন, শ্রম, ঘাম ও পুঁজি দিয়েছেন তা এ উপজেলার সর্বমহলে স্মরনীয়।

এ ইউনিয়নে সর্বপ্রথম সাহস নিয়ে নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীতা বিষয়ে রোকসানা বলেন, শুধু ব্যক্তিগতভাবে মানুষের জন্য জীবনের উপাদেয়, সহায়ক, কল্যাণকর ও প্রত্যাশিত অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। সে কারণে নিজেকে সরকারি কোন সঙ্গতকারণে চরজুবলিবাসীর এলাকাবাসীর জনজীবনের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও একটি টেকসই সমাজ ব্যবস্থা বির্নিমাণে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রত্যয় রাখছেন রোকসানা। রোকসানা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ উপজেলায় ১৯৯৯ সালে এসেছেন। তিনি সে সময়ে চরমহিউদ্দিনে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। এখানে অসংখ্য নদীভাঙ্গা মানুষের বসবাস ছিল বলেই সে সময়ে এ আশ্রয়ণ প্রকল্প হয়েছে। তিনি বলেন, চরজুবলিতে এ জেলার সর্ববৃহৎ ভূমিহীন আশ্রয়ণ কেন্দ্র। এটি উদ্বোধনের পর এখানকার ইউপি প্রশাসন সেখানাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরতাদের জীবনপাত্রার উন্নয়নে প্রত্যাশিত ও উল্লেখযোগ্য কিছু করেছেন বলে মনে হয়নি।

তিনি নির্বাচিত হলে এখানকার অসহায়, গৃহহীন ও হতদরিদ্র বসবাসকারীদরে উন্নত জীবন যাপনের প্রয়াসে নিজেকে অবদান রাখচেন বলে দাবি করেন। রোকসানা সাহস নিয়ে এলাকার সার্বিক জনজীবনের উন্নয়নে এগিয়ে আসার বিষয়ে বলেন, এদেশের প্রতিটি উন্নয়নে নারীকে অবশ্যই অংশীদাররিত্বের সুযোগ দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। রোকসানা একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাননীয় প্রধানন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে সু-হৃদয়তা রাখবেন নিশ্চয়। তিনি এমনটাই বিশ্বাস রাখেন। ইতিমধ্যে সমাজের মসজিদ, মাদ্রাসা ও হতদরিদ্র মানুষের জন্যে নিজের চেষ্টা, সাধ্য ও সামর্থানুযায়ী উপকার করার চেষ্ট করছেন।

তিনি বলেন, একজন চেয়ারম্যানের পক্ষে সরকারি সুযোগ সুবিধা নেয় জনগণের জন্যে কিছু করা আরো বেশি সহজ ও সম্ভব হয়ে ওঠে। রোকসানা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক কর্মকান্ডে নিজের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, করোনাকালে এ এলাকার অনেক ঘর-বাড়ি ও মানুষের মাঝে নিজেকে কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গিয়ে অমানবিকতার যে চিত্র দেখেছেন, তা থেকে মর্মাহত করেছে। কোন জনদূর্যোগের সময়ে জনপ্রতিনিধিরা জনসেবার আড়ালে আবড়ালে চলে যাওয়া অত্যান্ত হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। তিনি বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জনকল্যাণে সার্বিকভাবে নিজেদের অক্ষুন্ন রাখলে হয়তো মানবতা, মানবিকতা আরো উন্নীত হতো। তিনি বলেন, নারীদদের জন্যে এ এলাকায় কর্মসংস্থানমূলক কিছু প্রকল্প নিলে এখানাকার স্বামী পরিত্যক্ত, নির্যাতিত ও হতদরিদ্র নারীদের ভাগ্যেন্নয়নে সহায়ক হতো।

তিনি ভবিষ্যতে এখানকার নারী সমাজের উন্নয়নে বাস্তবমূখী কিছু কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হবেন বলে আশা রাখেন। রোকসানা মনে করেন, এ এলাকায় উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি থাকায় ইউপি প্রশাসন এর উন্নয়নেও সরকারের উর্ধ্বতন মহলে দাবি রাখতে পারেন। যা মাত্র ৫০ ময্যায় হওয়ায় অনেক সময় অনেক রোগীর স্বাস্থ্যসেবায় সংস্থান হয়ে ্ওঠেনা। তিনি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুফল কর্মকান্ডে অবশ্যই অংশ গ্রহণ করব্নে বলে জানান। রাজনৈতিক পরিবারের পুত্রবধূ হিসেবে রোকসানা এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে সমাদৃত রয়েছেন। তার স্বামী কামাল উদ্দিন চৌধুরীও সমাজে অসহায়, নিরীহ ও বিপন্ন মানবতার পাশে সর্বদাই সক্রিয় ও সজাগ থাকেন। রোকাসান বলেন, এ এলাকার ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ হিসেবে চরজব্বর ডিগ্রী কলেজটিও জাতীয়করণের দাবি রাখে। কিন্তু অতীতে দুঃখনজকারণে তা হয়নি।

রোকাসান ইউপি প্রশাসনকে এবিষয়ে সম্পৃক্ত রেখে ভবিষ্যতে শতভাগ জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করবেন। এছাড়া রামগতি ও সুবর্ণচরের আলহাজ¦ খলিল মিয়া বাজার ও রামগতির অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম ভুলুয়া নদীর ওপর দীর্ঘদিনের অবএহলিত ব্রীজটি আরো উন্নত ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করলে এ এলাকাটি প্রাকৃতিক শোভা, সৌন্দয্যে আরেকটি পর্যটন এলাকা হিসেবে স্থান করে নিতে পারে নোয়াখালীর মানচিত্রে। তিনি আরো জানান, এ এলাকায় বিপুল পরিমাণ কৃষি খাসজমি রয়েছে। যা স্থানীয় প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান করলে অনেক হতদরিদ্র মানুষ বেঁচে থাকার সংগ্রামের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে এটি না হওয়ায় প্রকৃত ভূমিহীনরা ভূমিহীন হিসেবে আজো নিজ দেশেই অসহায় হয়েই দিন অতিবাহিত করছে। পরম পরিতাপের সাথে রোকসানা বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে কলংকিত নারী নির্যাতনের ঘটনাটি এ এলাকায় ঘটেছে। ২০১৮ সালের নিবর্চাচনের পর এ ঘটনাটি তার এলাকাকে বর্হিবিশ্বে ভিন্নভাবে পরিচয় প্রদান করছে। যা নিয়ে পুরো এলাকাবাসীই সামাজিকভাবে বিব্রত। তিনি নির্বাচিত হলে নিশ্চয় এ ইউনিয়নে নারী নির্যাতন, হত্যা, রাহাজানি বিষয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় ইউপি প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে সংঘটিত অপরাধের প্রতিরোধ বিষয়ে কঠিন ও কঠোর এবং জনমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি