1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই ২৩ নাবিকসহ আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ তাপপ্রবাহে বিচারকাজ অনলাইনে করতে প্রধান বিচারপতিকে বারের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন বুধবার, সই হচ্ছে ছয় চুক্তি-সমঝোতা প্রবাসীদের তিন ব্যাংকের একটিতে তারল্যসংকটে, আরেকটি চেয়ারম্যানই সর্বেসর্বা ,অন্যটি এমডি–শূন্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি মার্কিন ডলার দুবাই পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

পরকীয়ার জেরে ‘স্ত্রীকে গুলি করেন সৌমেন’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • আপডেট : রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১
  • ৪৩৫ বার দেখা হয়েছে
পরকীয়ার জেরে ‘স্ত্রীকে গুলি করেন সৌমেন’
এএসআই সৌমেন

কুষ্টিয়ায় কাস্টমস মোড় এলাকায় স্ত্রী আসমা খাতুনকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন এএসআই সৌমেন। পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পায়নি ছেলে রবিন।

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মা আসমা খাতুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবা এএসআই সৌমেন রায় যখন পিস্তল বের করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন, তখন ভয়ে দৌঁড়ে পালাতে থাকে রবিন। তখন সৌমেন পেছন থেকে গুলি করে রবিনকে হত্যা করে।

তারপর খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় আসমা খাতুনকে। পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায় রোববার সকালে হত্যাকাণ্ডে ১১ রাউন্ড গুলি খরচ করেছেন বলেও জানা গেছে জেলা পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম সমকালকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশকিছু তথ্য দিয়েছে। পুলিশ সেগুলো যাচাইবাছাই করে দেখছে।

জেলা পুলিশের সিনিয়র ক’জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রীর ‘পরকীয়ার’ জের ধরে সৌমেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। স্পর্শকাতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে খুলনার ফুলতলা থানায় সৌমেনের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

জেলা পুলিশের সূত্রটি জানিয়েছে, ওয়ারেন্ট জারির কথা বলে সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানা থেকে সরকারি অস্ত্র ও গুলি নিয়ে এসেছিলেন।

স্ত্রীকে খুব কাছ থেকে গুলি করে সৌমেন

কাস্টমস মোড় এলাকার বেশকয়েকজন ব্যবসায়ী সমকালকে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানান। তাদের ভাষ্যে, রোববার বেলা ১১টার দিকে সৌমেন তার স্ত্রী আসমা ও ছেলে রবিনকে নিয়ে কাস্টমস মোড় এলাকায় আসেন। পরে একটি বিকাশের দোকানের সামনে তাদের সঙ্গে দেখা হয় শাকিল হোসেনের।

শাকিল হোসেনের পরিবার ও পুলিশের একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছেন, বিকাশের এজেন্ট শাকিলের সঙ্গে ‘পরকীয়া সম্পর্ক’ চলছিল আসমার।

আসমা, রবিন ও শাকিলের সঙ্গে সৌমেন ঢুকে পড়েন একটি খাবার হোটেলে। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হোটেল মালিক এসময় তাদের অন্যত্র চলে যেতে বলেন। এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে পাশের একটি মসজিদের গলিতে যান। সেখানে ও তাদের মধ্যে বাদানুবাদ চলতে থাকে।

একপর্যায়ে সৌমেন তার অস্ত্র বের করে মাথায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। এরপর তিনি আসমা ও শাকিলের দিকে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। দুইবার মিস ফায়ার হলে রবিন দৌঁড়ে পালাতে থাকে। সেসময় সৌমেন পেছন থেকে গুলি ছুঁড়লে নিহত হয় রবিন।

এরপর শাকিল ও আসমাকে সৌমেন কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেন। তিন জনকে খুন করতে সৌমেন ১১ রাউন্ড গুলি খরচ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যা পরে পুলিশও নিশ্চিৎ করেছে। এরপর ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে সৌমেনকে আটক করে। এসময় পুলিশ এসে সৌমেনকে ধরে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। ক্ষুব্ধ জনতা এসময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার সমকালকে বলেন, ‘নিহতদের মাথাসহ শরীরের অন্য স্থানে গুলি করা হয়েছে। খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়েছে। মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে আছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি