1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

পিএসপির মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে ফায়দা লোটার অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৯৮ বার দেখা হয়েছে

বিধি ভেঙ্গে পাট অধিদপ্তরের ৫৩ কর্মকর্তার পদায়ন চেষ্টা

আবু তাহের বাপ্পা : বিধি উপেক্ষা করে পাট অধিদপ্তরের প্রকল্পের কর্মকর্তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও তাদের নিয়মিত করণের  বিষয়ে দীর্ঘ বিতর্কের মাঝেই  সে সব কর্মকর্তাদের ৫৩জনকে নিয়মিত করতে বাংলাদেশ কর্মকমিশনে চিঠি দিয়েছে পাট অধিদপ্তর। যাদের নিয়োগেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ সহ প্রকল্প থেকে রাজস্বে স্থানান্তরে রয়েছে অভিযোগের পাহাড় সেই সব কর্মকর্তাদের নিয়মিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাট অধিদপ্তর।  অনেকেই বলছেন এ জন্য  সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করতে মোটা অংকের বাজেট নিয়ে নেমেছে সুবিধা আকাঙ্খী কর্মকর্তাদের গ্রুপ।

নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগের মধ্যেও কেন ৫৩জন কর্মকর্তাকে নিয়মিত করণে পিএসসিতে প্রেরণ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে পাট অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন  আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যে কোন কাজের ক্ষেত্রে অভিযোগ থাকতে পারে।গ্রুপিংও থাকে। একটি প্রকল্পের মাঝে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা কঠিন। কিন্তু বাস্তবতার বিবেচনায় ইচ্ছে করলেই  এককভাবে কাউকে নিয়োগ বা বাদ দেয়া যায় না। এখানে একটি প্রকল্প থেকে আরেকটি যেতে অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হয়। সাধারণ প্রকল্প থেকে রাজস্বে স্থানান্তরে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সে সব পেরিয়ে যারা রাজস্ব খাত ভক্ত হয়েছেন তাদের ৫৩জনকে নিয়মিত করণের জন্য পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। এখানে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ করা হচ্ছে এটা যারা করছে তারাই বলতে পারবে। তবে একটি গ্রিুপ দীর্ঘ সময় ধরে এমন অভিযোগ করে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কর্ম-কমিশনের পরিচালক শামসুন্নাহার সুমি বলেন, এর আগেও এ বিষয়ে একটি আবেদন আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিলো। সেখানে কিছু অসঙ্গতি থাকায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।আবার তেমন একটা প্রস্তাবনা আমাদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমরা যাচাই বাছাই করছি। এটা ফাইনাল না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা যাবে না। তবে বিতর্ক যেহেতু রয়েছে সে কারণে আমরা এটা গুরুত্ব দিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করবো।

জানা যায়,পাট অধিদপ্তরে বিধিবহির্ভুতভাবে বছরে ১২০ জন কর্মকর্তা কর্মচারিকে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা বেতন ভাতার নামে অবৈধ সুবিধা দিয়ে চলেছে অধিদপ্তর। আর এ কাজ করতে গিয়ে তারা সার্ভিস রুল সহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকেও উপেক্ষা করে চলেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র স্মারক নং পবি/সমন্বয়-২/১৫/৯৪/২২৯, তারিখ: ১০-৬-১৯৯৯ অনুসারে (ক)-তে বর্ণিত প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পের লোকবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানান্তর করা যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের স্মারক নং-পক/শিঃওশঃ/পাট/১৬২/২০০২/১৩৪ তাং-১০/০৬/২০০২ খ্রিঃ মোতাবেক ৩০শে মে ২০০২ খ্রি: তারিখে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীর সুপারিশ (গ)-এ  বর্ণিত প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে পূর্বের প্রকল্পদ্বয়ে অর্জিত কারিগরী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল জনবল একনেক এর অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচ্য প্রকল্পে স্থানান্তর করা যাবে মর্মে উল্ল্যেখ করা হয়। এই টেক্যনিক্যাল লোকজন শব্দের অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পের ১২০ জন কর্মকর্তা কর্মচারিকে অনৈতিক ও অবৈধভাবে  মোটা অংকের অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রাজস্ব খাত ভুক্ত দেখানো হয়। এখানে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র এবং কার্যবিবরনীর সুপারিশ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে পূর্বেকার সমাপ্ত প্রকল্পের জনবল বিধিবহির্ভূতভাবে নিজেদের “সমন্বিত উফশী পাট ও পাটবীজ উৎপাদন (২য় পর্যায়)” শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের জনবল দাবী করে তাদেরকে রাজস্ব খাত ভূক্ত করা হয়।

সমন্বিত উফশী পাট ও পাটবীজ উৎপাদন”প্রকল্পে যোগদানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বাছাই কমিটির সুপারিশ, নিয়োগপত্র, গৃহীত যোগদানপত্র ও চাকুরির ধারাবাহিকতা না থাকা, বেতনস্কেল কার্যকর করার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার শর্ত অনুসরণ না করে প্রকল্পে প্রাপ্ত সাকুল্য বেতনকে মূল বেতন হিসেবে ধরে  প্রকল্প হতে অস্থায়ী রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত ১২০ সংখ্যক জনবলগণ তাদের বেতনস্কেল কার্যকর করেছে। প্রকল্প হতে অস্থায়ী রাজস্বখাতে স্তানান্তরিত ১২০ সংখ্যক জনবলগণ কর্তৃক বর্তমানে বার্ষিক বেতন ভাতাদি বাবদ মোট ৬,৬০,৩০,২৯৬/- (প্রায়) টাকা এবং বছরে দুইটি উৎসব ভাতা বাবদ মোট ৭৩,৪৯,২৬০/- টাকা গ্রহণ করছে। তাদের দ্বারা বার্ষিক গৃহীত সর্বমোট অর্থের পরিমাণ ৭,৩৩,৭৯,৫৫৬/-(সাত কোটি তেত্রিশ লক্ষ ঊন আশি হাজার পাঁচশত ছাপান্ন টাকা)।সম্প্রতি বিতর্কিত সে ১২০ কর্মকর্তাদের মাঝ থেকে প্রকল্পের ৫৩জনকে নিয়মিত করে পিএসসি মানে উন্নীত করতে তাদের তালিকা পাঠায় পাট অধিদপ্তর।  অথচ এ বিষয়ে পূর্বের ধারাবাহিক বিধি ভঙ্গ ও নানা তথ্য উপেক্ষা বিষযে কোন প্রকার মুখ খুলতে রাজি নন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি