1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

প্যাভিলিয়নে ফিরলেন সাকিব

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৭১ বার দেখা হয়েছে

তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদকে দিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে’র দশ ওভার শেষ করান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতা সরে যেতেই এগারতম ওভারে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসানের হাতে। নিজের প্রথম ওভারে অন্তত তিনবার ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় বল লাগান সাকিব, সম্ভাবনা জাগান উইকেটের।

প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও, পরে সাকিবের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করেছেন তিনি। ক্যারিবীয় ইনিংসের ২৩তম ওভারে যখন আক্রমণ থেকে সরানো হয় সাকিবকে, তখন তার নামের পাশে বোলিং ফিগার ৭-২-৮-৩; এই স্পেলে ৩৪টি বলই ছিল ডট।

পরে সাকিবের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তিন উইকেট নেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। মেহেদি হাসান মিরাজের ঝুলিতে যায় এক উইকেট। ততক্ষণে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গুটিয়ে দিতে ৩৩তম ওভারে ফের আনা হয় সাকিবকে। দ্বিতীয় বলেই তিনি তুলে নেন ক্যারিবীয়দের শেষ উইকেট। সবমিলিয়ে বোলিং ফিগার দাঁড়ায়ঃ ৭.২-২-৮-৪!

আইসিসির এক বছরের নিষেষাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস পর খেলতে নেমে প্রায় একা হাতেই ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে দেন সাকিব। বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য মাত্র ১২৩ রানের। ইনিংস বিরতিতে সাকিব জানিয়েছেন, এতদিন পর ফেরাটা কঠিন হলেও নিজের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি।

ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে প্রথম ইনিংসের বিষয়ে কথা বলার সময় সাকিব বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। ১৬-১৭ মাস পর খেলাটা সহজ নয়। তবে যেভাবে পারফর্ম করেছি, আমি খুশি। বিষয়টা হলো, আমরা ১০ মাস কিছুই খেলিনি। তাই সবাই খেলার জন্য মুখিয়ে ছিল। শুরুতে সবার মধ্যেই নার্ভাসনেস ছিল, একইসঙ্গে উত্তেজনাও কাজ করেছে।’

বোলিংয়ে সাফল্যের পেছনে সহজ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল যে সবকিছু যত সহজ রাখা যায়, যত ভালো জায়গায় বোলিং করা যায় এবং বাকিটা উইকেটের (পিচ) হাতে ছেড়ে দেয়া।’

সাকিবের ৮ রানে ৪ উইকেট নেয়ার ইনিংসে আলো কেড়েছেন অভিষিক্ত হাসানও। পরপর দুই বলে দুই উইকেটসহ মোট ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী হাসান। তার বোলিংয়ে মুগ্ধ সাকিব। শুধু হাসান নয়, পাইপলাইনে থাকা অন্যান্য তরুণ ফাস্ট বোলারদের ব্যাপারেও আশাবাদী সাবেক বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেছেন, ‘আমাদের পাইপলাইনে বেশ কয়েকজন ভালো পেসার আছে। তারা সিস্টেমের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে। আমি সবশেষ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট (বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ) খেলেছি, তখন দেখেছি তরুণ পেসারদের। সবাই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে বোলিং করে। আমি আর হাসান মাহমুদ একই দলে ছিলাম। তাকে এমন বোলিং করতে দেখা সত্যিই ভালো লাগার বিষয়।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি