Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
বিএনপি’র উচিত রাজনীতি না করে বেগম জিয়াকে মুক্তভাবে শেষ যাত্রাটা সুগমকরা – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

বিএনপি’র উচিত রাজনীতি না করে বেগম জিয়াকে মুক্তভাবে শেষ যাত্রাটা সুগমকরা

কিবরিয়া চৌধুরী
  • আপডেট : শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪৬৩ বার দেখা হয়েছে

বিএনপি বেগম জিয়াকে নিয়ে অন্তিম রাজনীতি করতে চাইছে। কিন্তু তারা কতুটুকু সফল হবেন এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও গবেষনার বিষয়। বেগম জিয়ার বয়স ও রোগ দুটোই প্রতিকূলে। চিকিৎসা’র কিছু নেই। পড়ন্তবেলায় মানুষের জীবনে যা ঘটে, সবই নিয়তির লিখন। হায়াত-মৌত আল্লাহ’র হাতে। বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এখন বিস্তর গবেষনার সুযোগ নেই। দেশীয় চিকিৎসায় যা হবে বিদেশী চিকিৎসায়ও তাই হবে। এক দশকেরও বেশি সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বয়সের ভারে ন্যুজ। হাসপাতালে আছেন। ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়স হবে। এখন এই বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রীকে দেশের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বিদেশের হাসপাতলে নিলেও একই গতি।

অপরদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ কে ও তো বিদেশে নেওয়া হয়েছে। তিনি কি সুস্থ হয়ে  ফিরতে পারবেন? এখানে আইন, বিধান, রাজনীতির কোন অপশন নেই। তবে বেগম জিয়ার জীবনে শেষ প্রান্তে এসে এক ব্যতিক্রমী অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। তাহলো তিনি কারাবন্দী। সাজাভোগকৃত কয়েদী। সাজাভোগকৃত কয়েদীকে আইনের আওতায় যেটুকুন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় সরকার সবটুকুন প্রদান করেছে। বঙ্গবন্ধু’র কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা কালে মানবিক বিবেচনায় বেগম জিয়ার কারাভোগের অবস্থান থেকে বের করে বাসায় থাকার নির্বাহী আদেশের ব্যবস্থা করেছেন। সরকারের যা করার শেষটাই করেছেন। এই ক্ষেত্রে বিএনপি ও সমমনারা বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাবার যে দাবী করছেন সেই দাবীর মধ্যে সুস্থ রাজনীতি আছে। একজন অসুস্থ লোক নিয়ে তারা সুস্থ রাজনীতি করতে চাইছেন। এটা কাল উর্ত্তীণ দার্শনীক রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু’র কন্যা শেখ হাসিনা শতভাগ বুঝেন। এখানে সুপারিশ কিংবা বিবেচনার সুযোগ নেই।

বেগম জিয়ার বর্তমান অবস্থান  সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে গেলে প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে বেগম জিয়ার পরিবার। তার পরিবার যদি মনে করে বেগম জিয়ার স্বাধীন, মুক্ত ভাবে পড়ন্ত বেলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চান, তাহলে তার সাজা মওকুফ এর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা আবেদন করলে সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান নিশ্চই বিবেচনা করবেন। এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই বলে সাধারণ আমপাবলিকও মনে করেন। তারপরও বেগম জিয়া চাইলে বিদেশেও যেতে পারবেন। বিএনপি ও বেগম জিয়ার পরিবার মুক্ত ভাবে জীবনের শেষ সময়টাও পার করতে দিবেনা বেগম জিয়াকে? এই চিন্তাটা বেগম জিয়ার দল ও পরিবার করছেন কিনা সেটি মস্তবড় প্রশ্ন। বিএনপি এখন যা বলছেন তাতে ধারনা করা  হচ্ছে বেগম জিয়া মারা গেলে তার মৃতদেহটাকেও তারা অক্ষত রাখতে দিবেনা। তারা বলছেন বেগম জিয়াকে বিগত দিনে স্লো পয়জন প্রয়োগ করে ছিল। তাদের এই দাবী পূরণ করতে হলে বেগম জিয়ার মারা যাওয়ার পর তার লাশ পোস্টমর্টেম এর প্রয়োজন হতে পারে। তার মানে বেগম জিয়ার মৃত দেহকে নিয়েও তারা রাজনীতি করতে চাইছে । বেগম জিয়াকে সুস্থভাবে মরতেও দিবেনা বিএনপি।

দেশে রাজনীতির ঘটমান বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ, চিকিৎসা কিংবা সবদেহকে নিয়ে রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধু’র কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীক্ষ্ন  ও ক্ষুরধার রাজনীতির কোন পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব নয়। সম্ভব নয় মানে মোটেও সম্ভব নয়। এটা পরিষ্কার। বেগম জিয়ার শেষযাত্রা কালে যদিও বিএনপি রাজনীতি করতে চাইবে। রাজনীতির নেতার দল রাজনীতি করবেই। যতুটুকু পারা যায় জনসমর্থন আদায় করার ততোটুকুই তারা চেষ্টা করবে। বাস্তবতা হলো সবদেহ নিয়ে বিশেষ করে স্বাভাবিক মৃত্যুর সবদেহ নিয়ে রাজনীতির মাঠ তেমন ভরে উঠেনা। তবে বিশ্লেষনে যেটা দাঁড়ায় এতো সব জল ঘোলা না করে বিএনপি ও বেগম জিয়ার পরিবারের উচিত বেগম জিয়াকে মুক্ত করা। মুক্ত বেগম জিয়ার চিকিৎসা ও শেষ কার্য সম্পন্ন করার সুযোগ দেওয়া।

কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে নির্বাহী ক্ষমতা বলে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারেন। এই প্রশ্ন’র যৌক্তিকতা একেবারেই নেই, তা কিš‘ নয়। এই প্রশ্ন যখন আসে তখন সামনে এসে দাঁড়ায় ২০০৪ সালে ২১ শে আগষ্ট। সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যই আক্রমন করা হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনা মারা যেতে পারতেন। মারা গেলে কি হতো। মৃত মানুষের জন্য যা ঘটে, তাই ঘটতো। জায়নামাজ শেষে কবরে। কবরের খবর যে কি মাওলানা সাহেবরা বলেন, কবরে আযাব হয়, তারপর বেহেশতে যায়, দোযখে যায়, শাস্তি হয় ইত্যাদি। শেখ হাসিনা ভালো কাজের জন্য বেহেশতে যেতেন। যদি কোন একটু খারাপ কাজের জন্য দোযখে যেতেন। তখন দোযখের আগুনে জ্বলতেন। ঠিক সেই সময় যদি শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে কেউ আবেদন করেন, তাকে সুস্থভাবে বেহেশতে যাবার সুপারিশ করতে। তখন মৃত শেখ হাসিনা সে আবেদন কবুল করতেন? এমন নজির কি আল্লাহর দুনিয়াতে ও আখিরাতে আছে কি না? যা কিতাবে কিংবা গবেষনায় দেখানো যাবে?

বিএনপি ও সমমনাদের আবদারের সার সংক্ষেপ হলো, নিহত মানুষের কাছে জীবিত মানুষের মুক্তি চাওয়া। সোজা হিসাব, সোজা অঙ্ক, যোগ, বিয়োগ, পূরণ, ভাগের কোন সূত্র নেই। সোজা উত্তর। বিবেকবান মানুষেরা নিশ্চয়ই এই বিষয়টি বুঝবেন। বুঝতেতো হবেই। এই বিশ্লেষন হয়তো কঠিন হয়ে থাকতে পারে। বাস্তবতা সবসময়ে কঠিন । এখানে স্বাভাবিকতাই শেষ এবং নিয়তিই শেষ। আর কোন আপীল বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, পবিত্র আল-কুরআনের সূরা ইয়াসিনের এক আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলমীন বলেছেন, “যে যেরকম তোমার সাথে ব্যবহার করে তুমি তাঁর সাথে সেই ব্যবহার করবে”। (সূরা ইয়াসিন)

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি