1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

বৈজ্ঞানিক নিয়মে বেগুন গাছে টমেটোর চাষ ,

গাজী আনোয়ার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৫৬ বার দেখা হয়েছে

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য বেগুন গাছে টমেটো চাষে সফলতা পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের সবজি চাষি বাবলু কোম্পানি। প্রায় সাত বছর ধরে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় বেগুন গাছে টমেটোর আবাদ করছেন বাবলু। ধারাবাহিকভাবে একই গাছে দুই ধরনের ফসল ফলিয়ে সফলতা পাচ্ছেন তিনি। এর আগে কলা গাছ থেকে রাসায়নিক সার, আতা ও নিমপাতা থেকে কীটনাশক তৈরি, ঢেঁড়স গাছ থেকে পাটের বিকল্প আঁশ উদ্ভাবন করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন বাবলু। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান মালিথাপাড়া গ্রামের বাবলু সর্দার ওরফে বাবলু কোম্পানির (৪৬) প্রাতিষ্ঠানিক কোনও শিক্ষা নেই। তবে মেধা দিয়ে কৃষি উদ্ভাবনে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বাবলু শুধু সফল সবজি চাষিই নন, নতুন নতুন উদ্ভাবনেও তার সফলতা রয়েছে। ২০১১ সালে ঢেঁড়স গাছ থেকে পাটের আঁশ উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলেছিলেন। ২০১২ সালে ঢাকায় জনবিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত উদ্ভাবনী মেলায় ২৫ স্বশিক্ষিত উদ্ভাবকের একজন বাবলু। বাবলু কোম্পানি বলেন, এবছর প্রায় ৩০০ বেগুন গাছে টমেটোর চাষ করেছি। এবারও ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গাছের টমেটো এবং বেগুন বিক্রি করেছি। এখনও গাছে অনেক টমেটো রয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় সাত বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বেগুন গাছে কলম করে টমেটোর চাষ শুরু করি। একই গাছে বেগুন এবং টমেটোর চাষ করে বেশ সাফল্য আসে। এরপর থেকে প্রতিবছর এই পদ্ধতিতে বেগুন এবং টমেটো চাষ করছি। বাবলু বলেন, প্রথমে আমি চার বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করি। আর ১০ কাঠা জমিতে টমেটো। বেগুন গাছে টমেটো চাষের জন্য ১০টি বেগুন গাছে টমেটোর ডোগা কেটে কলম করি। কিছুদিন পর দেখা যায় টমেটোর ডগাগুলো মরেনি। সেগুলোও বেগুনের ডগার মতো বড় হচ্ছে। কলম করার মাসখানেক পরে দেখা যায়, বেগুন গাছের ডগায় টমেটো ধরেছে। এতে বেগুন গাছ থেকে একসঙ্গে টমেটো এবং বেগুন পাওয়া যায়। একেকটি গাছ থেকে প্রায় তিন কেজি টমেটো পেয়েছি। এবছর প্রায় ৩০০ বেগুন গাছে টমেটোর চাষ করেছেন বাবলুএবছর প্রায় ৩০০ বেগুন গাছে টমেটোর চাষ করেছেন বাবলু সফল এই সবজি চাষি বলেন, ২০০০ সালে নিজ গ্রামের তাজ আলী মালিথার এক বিঘা জমি চার হাজার টাকায় লিজ নিয়ে ফুলকপি চাষ শুরু করি। পরের বছর একই গ্রামের বগা বিশ্বাসের কাছ থেকে আট হাজার টাকায় দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে বেগুন, লাউ ও বাঁধাকপি চাষ করি। এরপর বাড়তে থাকে সবজি চাষের প্রসার। মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, বাবলু একজন সফল সবজি চাষি। তিনি উপজেলার মডেল চাষি হিসেবে পরিচিত। বেগুন, টমেটো ও তিত বেগুন একই গোত্রের হওয়ায় বেগুন গাছে খুব সহজেই টমেটোর কলম করা যায়। বেগুনের চেয়ে তিত বেগুনে পোকার আক্রমণ কম। সহজেই বেগুন গাছে টমেটো চাষ করা যায়। রমেশ চন্দ্র বলেন, বাবলু বেগুন গাছে কলম করে টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সাধারণত শৌখিন ব্যক্তিরা এগুলো বাড়ির ছাদে চাষ করতে পারেন। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে বেগুন গাছে টমেটো চাষ খুব জনপ্রিয় হবে বলে আশা করছি। মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাদের বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও বাবলুর এসব চাষাবাদ ব্যতিক্রম। বেগুন গাছে টমেটোর কলম করে সফল হওয়ার পর তিনি আলু গাছে কলম করে টমেটো আবাদের চেষ্টা করছেন। আমরা বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা করছি। এতেও তিনি সফল হবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি