Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ভোজ্যতেলের বাজার চড়া – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ নির্ধারণ করে দিলো সৌদি উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপিকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ ফিলিস্তিনসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

ভোজ্যতেলের বাজার চড়া

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪৯৩ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা : গত নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। টনপ্রতি ৭০০ ডলারের সয়াবিন তেল এখন প্রায় ১২০০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। সরকার আমদানি পর্যায়ে ভোজ্যতেলে ৩ স্তরের ভ্যাট আরোপ করায় খরচও বেশি পড়ছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা সব ধরণের সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৩৫-১৪০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১১৫-১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মিলগেট পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১২৫ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১১০ টাকা নির্ধারণ করেছে কোম্পানিগুলো।

দেশের অন্যতম একটি সয়াবিন তেল আমদানি ও বিপণন কোম্পানির পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্ন আমাদের না করে এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করেন। উনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩ স্তরের ভ্যাট বসিয়ে রাখছে। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে। ভ্যাট কমানোর জন্য আমরা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কম চেষ্টা তো করিনি। ট্যারিফ কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা দাম নির্ধারণ করলে বোতলজাত সয়াবিনে ১৫৫ টাকা লিটার হবে। আমরা তো তবু ১৩৫ টাকা করেছি। আগামী বাজেটের আগে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে মনে হয় না।’

সয়াবিন তেলের ওপর আরোপিত শুল্কের বিষয়ে কথা বলার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের মোবাইল ফোনে একাধীকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থান ও আয় ভালো থাকলে দু’একটি পণ্যের দাম বাড়লে তেমন একটা প্রভাব পড়ে না। সমস্যা হলো দেশের মানুষের আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এ কারণে বাজারে সামান্য দাম বৃদ্ধিতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ট্যারিফের (শুল্ক) বিষয়ে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হলো, রাজস্ব কর্মকর্তারা একবার ট্যারিফ আরোপ করলে তা আর কমাতে চায় না। ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিন্তু বাজার স্বাভাবিক রাখতে দু’একটি পণ্যে ট্যারিফ ছাড় দিতেই হবে। এটা অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়। আমাদের অর্থমন্ত্রী এসব নিয়ে কতটুকু ভাবছে সেই প্রশ্ন থেকে যায়। সরকারের উচিত দ্রুত ট্যারিফ কমিয়ে এবং সরবরাহ বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।’

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে আমদানি পর্যায়ে তিন স্তরের পরিবর্তে এক স্তরের শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এ ছাড়া বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১২৪ ও খুচরা সয়াবিন তেলে ১০৯ টাকা দাম নির্ধারণ করা যায় বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি সুরাহায় একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১১ ফেব্রুয়ারি কমিটি এ বিষয়ে বৈঠক করবে। ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ভোজ্য তেলের থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও তা অর্জনে তেমন সমস্যা হবে না; বরং বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে এক স্তরে শুল্ক নির্ধারণই এখন একমাত্র উপায় দেখছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্যারিফ কমিশনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কমিশন নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ ও মতামত দিয়ে থাকে। আমরা এর আগেও এক স্তরে ভ্যাট নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছিলাম। যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা গবেষণা করে দেখেছি, এনবিআর যখন চলতি অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা করেছিল, তখন টনপ্রতি সয়াবিন তেলের আমদানি মূল্য ছিল ৬০০-৭০০ ডলার। গত দুই মাসে তা বেড়ে ১ হাজার ২০০ ডলার হয়েছে। ভ্যাট হারের সংশোধন ও বাস্তবায়নে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। যেহেতু আমদানি মূল্য বেশি তাই সরকার রাজস্বও বেশি পাচ্ছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, আগামী মাস থেকে যদি আমদানিতে পুরো ভ্যাট প্রত্যাহারও করে দেয় তার পরও রাজস্ব আহরণে প্রভাব পড়বে না।’

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ভোজ্য তেলের ওপর তিন পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ করা হয়, যা আগে শুধু আমদানি পর্যায়ে আদায় করা হতো। এ ছাড়া অগ্রিম করও দিতে হচ্ছে আমদানি পর্যায়ে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ে, আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারেও কমে। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়া শুরু হয়। এর পর থেকেই আমদানিকারকরা এক স্তরের ভ্যাট নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি সুরাহায় এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল। সবশেষ গত নভেম্বরে আমদানিকারকরা ভোজ্য তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য আবেদন করলে মন্ত্রণালয় ট্যারিফ কমিশনকে দিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ চায়। গত ১১ জানুয়ারি কমিশন এক স্তরের ভ্যাট নির্ধরাণ অথবা বোতলজাত সয়াবিন তেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৪ টাকা বাড়িয়ে ১২৪ টাকা করার সুপারিশ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি