Warning: Creating default object from empty value in /home/jatioart/public_html/wp-content/themes/NewsFreash/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
মাসে ডিএসইর মোবাইল অ্যাপ ফি ধার্য ১০০ টাকা – দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
  1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. arthonite@gmail.com : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

মাসে ডিএসইর মোবাইল অ্যাপ ফি ধার্য ১০০ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১
  • ২০৫ বার দেখা হয়েছে

ব্রোকারেজ হাউসের সাহায্য ছাড়াই বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে নিজে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিতে অন্তত ৬০ হাজার বিনিয়োগকারীর পছন্দ ডিএসইর মোবাইল অ্যাপ। কিন্তু যারা এই অ্যাপের ওপর নির্ভরশীল, তারা বলছেন, এটা অনেকটা ‘নরক যন্ত্রণা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পছন্দের দাম দেখে শেয়ার কেনার বা বেচার আদেশ দেওয়ার পর ওই আদেশ ডিএসইর ট্রেড সার্ভারে সাবমিট (পৌঁছাতে) সময় লাগছে ৫-৭ মিনিট। ততক্ষণে শেয়ারের দর বেড়ে যাচ্ছে বা কমে যাচ্ছে। কাঙ্খিত দরে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারছে না। এতে প্রায়সই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে কারো কারো।

এমন অভিযোগের মধ্যে সেবার মান না বাড়িয়েই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তাদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ওপর সার্ভিস চার্জ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগামী জুলাই থেকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে ডিএসইকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের। সম্প্রতি ডিএসইর পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৬ সালের মার্চে চালুর পর এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে এ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারছেন বিনিয়োগকারীরা। যদিও অ্যাপটির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারকারী প্রতি মাসে এক ডলার করে এবং সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ আরো ২৫ সেন্ট করে অর্থ দিতে হচ্ছে। এতে ডিএসইর প্রতি বছর ব্যয় বাড়ছে। এখন পর্যন্ত কোনো আয় না করেই ডিএসইকে এ বাবদ ৩০ কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। এ ব্যয় সমন্বয় কমাতেই ফি ধার্য করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মোহাম্মদ ইউনুস নামের ডিএসইর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারী এক বিনিয়োগকারী বলেন, ১০০ টাকা ফি দিয়ে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারে তার আপত্তি নেই। কিন্তু তার আগে সঠিক সেবা দিতে হবে।

এ কথা শুধু মোহাম্মদ ইউনুসের নয়, বর্তমানে ডিএসইর ট্রেডিং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারী ৬৩ হাজার বিনিয়োগকারীর সকলের। ফেসবুকে ডিএসইর মোবাইল ইনভেস্টরস নামের পেজে প্রায়সই কোনো না কোনো বিনিয়োগকারী এ ধরনের অভিযোগ করছেন। তবে অভিযোগে কাজ না হওয়ায় এখন অনেকেই অভিযোগ করাও ছেড়ে দিয়েছেন।

ডিএসইতে প্রি এবং পোস্ট মার্কেট সেশন চালুর পর গত নভেম্বরে প্রি এবং পোস্ট মার্কেট সেশনেও কেনাবেচার আদেশ দিতে পারতেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। কিন্তু লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইর মূল ট্রেড সার্ভার এ চাপ নিতে না পারায় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রি এবং পোস্ট সেশনে মোবাইল অ্যাপ থেকে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এমনটি স্বাভাবিক লেনদেন শুরুর সময় ১০টা হলেও ডিএসইর অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সোয়া ১০টার আগে কোনো কেনাবেচার অর্ডার দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়। একইভাবে লেনদেন সময় আড়াইটায় শেষ হলেও দুপুর ২টার পরও কোনো কেনাবেচার অর্ডার দিতে পারেননি।

তবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় পুরো লেনদেন সময়ে কেনাবেচার অর্ডার সাবমিটের সুবিধা চালু করা হয়।

ডিএসইর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিম। তিনি  বলেন, বর্তমানের এ অ্যাপের সক্ষমতা হলো দিনে ১৪ হাজার ব্যবহারকারীর সেবা দেওয়া। কিন্তু প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বিনিয়োগকারী লগইন করছেন। এতেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

সমস্যা থেকে কাটিয়ে উঠতে সফটওয়্যারগত সমস্যার দিয়ে সাময়িক সমাধানের কাজ চলছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ কাজটি শেষ হলে বর্তমানের তুলনায় সমস্যা কমে আসবে বলে জানান তিনি।

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি  বলেন, শিগগিরই ডিএসইর অ্যাপের ক্ষমতা দিনে দ্বিগুন করা হচ্ছে। এতে ২৮ হাজার বিনিয়োগকারীকে ভালোভাবে সেবা দেওয়া যাবে। এখন যারা টাকা দিয়ে সেবা নিতে চান না, তারা রেজিস্ট্রেশন বাতিল করলে যারা প্রকৃত ব্যবহারকারী তাদের সুবিধা, ডিএসইরও সুবিধা।

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি বলেন, মানসম্পন্ন মোবাইল অ্যাপে ট্রেড সুবিধা চালুর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এক সঙ্গে ৩ লাখ ব্যবহারকারীকে মোবাইল অ্যাপের সেবা দেওয়া যাবে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এ সুবিধা চালুর সম্ভাবনা আছে।

এদিকে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসও নিজস্ব অ্যাপ তৈরির কাজ করছে। শিগগিরই শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ তাদের অ্যাপ চালু করবে। এ মাসেই এটি চালু হতে পারে। সিটি ব্রোকারেজও চালু করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি