1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

রাজউক কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সূত্রাপুরে অবৈধ ভবন নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩
রাজউক কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সূত্রাপুরে অবৈধ ভবন নির্মাণ
রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মানাধীণ ঝুঁকিপূর্ন বহুতল ভবন ৩৮/১ তনুগঞ্জ লেন, কুলুটোলা,সূত্রাপুর
  • ইমারত পরিদর্শক অথরাইজ অফিসারের বিরুদ্ধে নোটিশ বাণিজ্যের অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা সূত্রাপুর, ধোলাইখালের উপর বক্স কালভার্ট করে রাস্তা নির্মিত হলেও তার আশেপাশে তনুগঞ্জ, বানিয়া নগর, কাঠেরপুল  এলাকার  ভবনগুলোর বেশিরভাগই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইমারত আইন মানছে না। খালের পাশের জমি হওয়ার কারণে সেখানকার মাটি খুবই নরম। রাজধানীর তনুগঞ্জ এ কিছুদিন আগেও একটি ছয়তলা ভবন ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। ৩৮/১ তনুগঞ্জ লেন, কুলুটোলা,সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০ এর মাকসুদ আহমেদ, মাহাবুব আলম, মনসুর আহমেদ, মোস্তাক আহমেদ মালিকানাধীন রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মানাধীণ ঝুঁকিপূর্ন একটি বহুতল ভবন। স্থানীয়  সূত্রে জানা যায়  নির্মাণরত অবস্থায় গত চার মাস আগে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন সময় নকশা বহির্ভূত অবৈধ নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের চার লক্ষ টাকা জরিমানা করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা এবং নির্মিত নিয়ম বহির্ভূত অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও অতঃপর দেদারছে নির্মাণ কাজ শুরু করে দেয় বিল্ডিং মালিক ও ডেভলপার গন।  আশপাশের স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ বিল্ডিং তৈরি করার সময় রাজউকের কোন প্ল্যান মানা হয়নি। ভবনটির আশেপাশে রয়েছে সরু গলি, যাতে দুটি রিকশা পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে না।  মানা হয়নি ফায়ার সার্ভিস কোড। ভবনটি তার পার্শ্ববর্তী রাস্তার উপরে দোতালায় স্লাব ঢালাই এর মাধ্যমে প্রায় দু ফুট বাড়িয়ে নিয়েছে। স্থানীয় জনগণ আরো বলে ভবনটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে, এবং এতে ব্যাপক প্রাণহানীর সংঙ্কা রয়েছে। রাজউক একবার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও পরবর্তীতে রাজউকের জোন ৭ এর ১ অঞ্চলের অথরাইজড অফিসার এবং ইমারত পরিদর্শক বিপুল পরিমাণ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ৩৮/১ তনুগঞ্জস্থ অবৈধ ভবনটি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে নিরব সহায়তা প্রদান করেন। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট জোনের অথরাইজড অফিসার কোন সদুত্তর না দিয়েই ফোনের লাইনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এবং রাজউক সূত্রে জানা যায় আগামী ২০শে জুন ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ নকশা বহির্ভূত ভবনটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা আদৌ সম্পন্ন হবে কিনা এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে স্থানীয় জনগণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই প্রশ্ন,  ভবন মালিক এবং ডেভলপারগণ একবার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত এবং বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দেওয়ার পরেও কিভাবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে  অনুমোদন বহির্ভূত ভবনটি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে?

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি