1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কসবায় পৌর অটোরিকশা ট্যাক্স বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কসবায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

রাজধানীতে ভয়ংকর টর্চার সেল করেছে পুলিশ,আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় অভিযোগ ভুক্তভোগীর

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

মোঃ জিল্লুর রহমান আজাদ: রাজধানীর পল্লবী থানার কয়েকজন অসাধু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।ব্যবসায়ী আলতাফ জানিয়েছে , কমান্ডো স্টাইলে তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যেরা। আলতাফ এর অভিযোগ স্থানীয় এক কমিডিটি সেন্টারে আটকে রেখে নির্যাতন করে আদায় করা হয়েছে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ। তিনি অভিযোগ করেন, কমিউনিটি সেন্টারটি টর্চার সেল বা মিনি থানা নামে পরিচিত স্থানীয়দের কাছে। গত ৭ এপ্রিল, বেলা ২টা ৭ মিনিটে রাজধানীর পল্লবীর ৬ নাম্বার সেকশন, সি-ব্লকের ১৪ নম্বর সড়কের ২৫৭/২৫৮ নম্বর ভবনে পুলিশ সদস্যে পরিচয়ে, বেশ কয়েকজন সাদা পোশাকে প্রবেশ করেন। প্রায় ১০ মিনিট পর ভবনটির ছয় তলার ভাড়াটিয়া আব্দূর রহিম নামের এক ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে যান। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলো ওয়াকিটকি ও অস্ত্র । গোপন ক্যামেরায় এমনটি দেখা যায়।

সবশেষে কয়েকটি মটরসাইকেল যোগে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের বর্ননায় জানা যায় ঘটনার ভয়াবহতা । ওই ব্যক্তিদের প্রথমে ভুয়া পুলিশ মনে হলেও এক পর্যায়ে তিনি নিশ্চিত হন তারা সত্যিকারের পুলিশ এবং পল্লবী থানায় কর্মরত। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, মিরপুর ১১নাম্বার মেরিমেন্ট কমিউনিটি সেন্টারে অন্ধকার কক্ষে আটকে রেখে চালানো হয় , অমানবিক নির্যাতন, চাওয়া হয় মুক্তিপণ। আব্দুর রহিম জানান ,তারা বলে  পল্লবী থানা থেকে এসেছেন। আমাকে বলেন তোর বাসায় সোনা-গয়না আছে না। ওই কমিউনিটি সেন্টারে  আমাকে একটি অন্ধকার রুমে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে গেলে নরমালি যে কারও ভয় লাগবে। তাঁরা সেটাকে মিনি থানা হিসেবে ব্যবহার করে। আমি থাকা অবস্থায় সেখানে আমার মতো দুই/তিন জনকে আটকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। আমার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো। পরে আকুতি মিনতি করে ৫০ হাজার টাকায় দফারফা  হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সদরদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আব্দুর রহিম । মামলা করছেন আদালতে এবং আসামী করা হয়েছে পল্লবী থানার এসআই শুভ, এসআই জিতু, এএসআই ফয়সালসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে।মেরিমেন্ট কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশের টর্চার সেল এমন অভিযোগ যাচাইয়ে গেলে মেলে তার সত্যতাও। অভিযোগের বিষয়ে জানতে,পল্লবী থানায় গেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি কেউ।এ প্রসঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তা বলেন , টর্চার সেল বা মিনি থানা নামের পুলিশের কোন  কার্যক্রম নেই। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের উপ- পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন এমনটি জানিয়েছেন। পল্লবী থানায় নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, ঢকার  সিএমএম আদালত।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি