1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

লড়াই ছাড়াই বড় পরাজয় বাংলাদেশের

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৩৫ বার দেখা হয়েছে

২৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পঞ্চম দিনের শুরুতেই পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে। ১১ রান ও হাতে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় প্রথম ঘন্টাতেই। ৪২ রান যোগ করে দলীয় ৫৩ রানেই অলআউট টাইগাররা। এতে ২২০ রানের লজ্জার হার বরণ করতে হল স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের ১০ উইকেটের ৭টিই শিকার করেছেন প্রোটিয়ার কেশব মহারাজ। ২০১৩ সালের পর ডারবানে টেস্ট জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

সোমবার ডারবানের কিংসমেডে পঞ্চম দিনের খেলায় ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। যেখানে চতুর্থ দিন দলীয় ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ করেছিল। তবে শেষ দিন নেমে উইকেট বিলাতে থাকেন ব্যাটাররা। অবশেষে মোট ১৯ ওভার ব্যাট করে ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

রান তাড়ায় নেমে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। কেশভ মহারাজের বিষাক্ত ঘূর্ণিতে একটা সময় ৩৩ রানেই চলে গিয়েছিল ৭ উইকেট।

বাংলাদেশের রান পঞ্চাশ পার হবে কিনা, সেই শঙ্কাই জেগেছিল। নাজমুল হোসেন শান্ত একটা প্রান্ত ধরে কিছুটা লজ্জা দূর করলেন। ৫০ ছুঁতে পারলো টাইগাররা।

তবে ৫০ হতেই ভরসা হয়ে থাকা শান্তও আউট হয়ে গেলেন। হারমারের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন শান্ত। ৫২ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় তিনি করেন ২৬ রান।

দুই বোলার মিলেই শেষ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ইনিংস। কেশভ মহারাজ ৩২ রানে ৭ উইকেট, হারমার ২১ রানে নেন বাকি ৩ উইকেট।

আগের দিন বড় ধাক্কা খেলেও অনেক আশা নিয়ে পঞ্চম দিনে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশে। উইকেটে ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তার সেই অভিজ্ঞতা টিকলো মাত্র পাঁচ বল।

দিনের প্রথম ওভারেই দলকে বিপর্যয়ে রেখে শূন্য করে ফিরলেন মুশফিক। কেশভ মহারাজের ডেলিভারি প্যাডে লাগলে আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। মুশফিক রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যায়, বল পরিষ্কার উইকেটে আঘাত হেনেছে।

তারপর লিটন দাসও আত্মঘাতী শট খেলে বসেন। মহারাজকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার (২)। তাতে বাংলাদেশ পড়ে মহাবিপর্যয়ে। ১৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।

সেই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। একে একে সাজঘরের পথ ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বি (৫), মেহেদি হাসান মিরাজরা (০)।

ইয়াসিরকে বোল্ড করে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মহারাজ। হারমারকে মারতে গিয়ে পিটারসেনের ক্যাচ হন মেহেদি মিরাজ। ৩৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বড় লজ্জার মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে কোনোমতে দলকে পঞ্চাশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন শান্ত। তিনিও হারমারের ঘূর্ণিতে পা এগিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন স্ট্যাম্পিয়ের ফাঁদে।

ডারবানের কিংসমিডে আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২০৪ রানে অলআউট করে ২৭৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে রান তাড়ায় নেমে চতুর্থ দিনেই ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে মুমিনুল হকের দল।

সাইমন হার্মারের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লিপে ধরা পড়েন সাদমান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসেও মাত্র ৯ রান করতে পেরেছিলেন এ বাঁহাতি ওপেনার।

বাংলাদেশের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন কেশভ মহারাজ। প্রথম বলেই ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হয়ে যান ৪ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়। ওভারের পঞ্চম বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে লেগ বিফোর হন অধিনায়ক মুমিনুল (২)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ১২১ ওভারে ৩৬৭/১০ (টেম্বা বাভুমা ৯৩, ডিন এলগার ৬৭; খালেদ আহমেদ ৪/৯২, মেহেদি মিরাজ ৩/৯৪)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১১৫.৫ ওভারে ২৯৮/১০ (মাহমুদুল হাসান জয় ১৩৭, লিটন দাস ৪১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৮; সাইমন হারমার ৪/১০৩)

দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: ৭৪ ওভারে ২০৪/১০ (ডিন এলগার ৬৪, রায়ান রিকেটরটন ৩৯*; এবাদত হোসেন ৩/৪০, মেহেদি মিরাজ ৩/৮৫)

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯ ওভারে ৫৩/১০ (শান্ত ২৬, তাসকিন ১৪, ইয়াসির ৫, জয় ৪, সাদমান ০, মুমিনুল ২, মুশফিক ০, লিটন ২, মিরাজ ০; কেশভ মহারাজ ৭/৩২, হারমার ৩/২১)।

ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২০ রানে জয়ী।

সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি