বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন একটি ব্রান্ডের নাম। শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস। ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে। দীর্ঘ ৭৫ বছরের জীবনে তাকে বহুবার হত্যার অপচেষ্টা হয়েছে। বারবার তার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। জেল-জুলুম ও নির্যাতন কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে উঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে তিনি আজ বিশ্বনেতাদের কাতারে পৌঁছেছেন। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসঙ্ঘে বক্তব্য বিশ্বে প্রশংসিত।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম। শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে উঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বনেতার কাতারে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসঙ্ঘে বক্তব্যের কারণে বিশ্বে প্রশংসিত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ ভালো আছেন। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ। দারিদ্র্যবিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে তলাবিহীন ঝুড়ি আজ উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক সূচকে আমরা মাইলফলক অর্জন করেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে আরো আধুনিক স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য দলের মধ্যে কোনো বসন্তের কোকিল নয় ত্যাগীদেরই জায়গা করে দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব নেতাকর্মীকে শপথ নিতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে দল সাজাতে হবে। যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে অব্যাহতভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। শেখ হাসিনা হাসলে বাংলাদেশ হাসে, আর বাংলাদেশ যখন ঘুমায় শেখ হাসিনা তখন জেগে থাকেন। তিনি বলেন, পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসঙ্ঘ এসডিজি অগ্রগতি পদক দিয়েছে চলতি অধিবেশনে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বনেতারা আজ শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন; কিন্তু রাত ১২টার পরে টেলিভিশনের পর্দা গরম করা কিছু লোক এবং বিএনপি প্রশংসা করতে পারছে না। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পরে শেখ হাসিনা যখন দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছিলেন দলকে সংগঠিত করতে তখন নেত্রীর ওপর বারবার হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপির সহযোগিতায় এবং ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে এবং চট্টগ্রামে গুলি করে এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা: দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।